Jagdeep Dhankhar on BBC Controversy: সাদ্দাম উপমা টেনে ‘বিকৃত তথ্য’ থেকে দূরে থাকার বার্তা ধনখড়ের, নিশানায় বিবিসি?

বিকৃত তথ্য থেকে দূরে থাকতে সবাইকে সতর্ক করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ধনখড়ের অভিযোগ, ভুয়ো তথ্য সম্প্রচারিত করে ভারকে বিশ্বমঞ্চে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। বুধবার ‘ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস’-এর নবনিযুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে আলাপচারিতায় ধনখড় বলেন, ‘গত শতাব্দীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এক জনের কাছে জনজীবন ধ্বংস করে দেওয়ার মতো অস্ত্র আছে (সাদ্দাম হুসেন নিয়ে বিবিসির রিপোর্টিং)। কিন্তু পরে সেই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।’ এই আবহে ‘বিকৃত’ তথ্য থেকে আধিকারিকদের সতর্ক করেন ধনখড়।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গাতে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রতি প্রকাশ করেছিল বিবিসি। যা নিয়ে সমালোচনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও ব্রিটিশ সংসদে দাঁড়িয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধ মত পোষণ করেন। এই বিতর্কের মাঝেই এবার বিবিসির অফিসে কেন্দ্রীয় সংস্থার হানা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র ঘিরে বিবিসি বহুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। সেই জায়গা থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই তথ্যচিত্র ব্লক করার কেন্দ্রীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এদিকে মামলা দায়ের হয়েছিল ভারতে বিবিসির কার্যক্রম বন্ধের আর্জি জানিয়েও। ‘ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কেয়েশ্চন’ শীর্ষক ওই বিতর্কিত তথ্যচিত্র ভারতে দেখায়নি বিবিসি। তবে তা ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। তবে ভারত সরকার সেই তথ্যচিত্রটি ‘ব্লক’ করে দিয়েছিল। এদিকে গতপরশু সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, ২০০২ সালের পর থেকেই মোদীর পিছনে পড়ে রয়েছে বিবিসি।

এই সবের মাঝেই বিগত দুই দিন ধরে দিল্লি এবং মুম্বইয়ে অবস্থিত বিবিসির অফিসে সার্ভে চালায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ‘সার্ভে’ চলাকালীন বেশ কিছু ল্যাপটপ স্ক্যান করেছেন আধাকিরিকরা। আয়কর কর কর্তৃপক্ষ বিবিসির ‘অননুমোদিত কর সুবিধা, কর ফাঁকি, বিমুখতা এবং অসহযোগিতার’ অভিযোগের তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। জানা গিয়েছে, বিবিসিকে অতীতেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সেই নোটিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করেনি। সূত্রের দাবি, ২০১২ সাল থেকে বিবিসির পুরো হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখা হয় এই আয়কর সার্ভে চলাকালীন।