গরম চিমটি দিয়ে ছ্যাঁকা, ঠান্ডায় নগ্ন করে মার, দত্তক কন্যাকে নির্যাতন নার্সের

৫০ বছর বয়সী সরকারি হাসপাতালের এক নার্সকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দত্তক নেওয়া কন্যাকে তিনি বেধড়ক মারধর করেছেন। চরমতম নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ । সাত বছর বয়সী ওই কিশোরীকে তিনি চিমটি গরম করে ছ্যাঁকা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের রুরকি থেকে ওই কিশোরীকে দত্তক নিয়েছিলেন ওই নার্স।

রেনু কুমারি নামে ওই নার্স কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালে কর্মরত। তার স্বামী আনন্দ কুমার। ওই দম্পতি দুজনে মিলেই দত্তক নেওয়া কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। মেডিক্য়াল রিপোর্টে দেখা গিয়েছে কিশোরীর শরীরে অন্তত ১৮ জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে।

এদিকে তাদের ছেলে জনিকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল। সেও ওই শিশুটিকে মারধর করত বলে অভিযোগ।

ওই নার্স দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে কর্মরত। তিনি ওই শিশুটির কাকিমা। তিনিই শিশুটিকে দত্তক নিয়েছিলেন। এদিকে কিশোরীর স্কুলের দিদিমণিরা প্রথমে তার শরীরে আঘাতের দাগগুলি দেখেন। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন। এরপর ওই কিশোরী জানায় আমি কাকিমার সঙ্গে থাকি। আরকে পুরম এলাকায় থাকি। সে পুলিশের কাছে সব কথা খুলে বলে।

তার অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই কাকিমা আমায় মারধর করে। আমাদের জোর করে ঠান্ডা মেঝেতে শুতে দেয়। ডিসেম্বর, জানুয়ারির ঠান্ডায় জামাকাপড় ছাড়াই আমায় ব্যালকনিতে আটকে রাখে।

শিশুর অভিযোগ, জ্বলন্ত কয়লা আমার গায়ে দিয়েছিল কাকিমা। ছুরি দিয়ে আমার জিভও কেটে নিয়েছে।

এখানেই থামেনি কিশোরী। তার অভিযোগ, গরম জলে বসিয়ে রাখা হত। রোজ মারধর করত। পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু করেছে। তার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাকে চড় থাপ্পড়ও মারা হত। আতঙ্কে একেবারে গুটিয়ে থাকত। গোটা শরীরে পুড়়িয়ে দেওয়ার , মারধর করার দাগ। তবে শেষ পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষিকা বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আপাতত তদন্ত শুরু করেছে।

ওই শিশুকে একেবারে নারকীয় নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জ্বলন্ত কয়লাও শরীরে দেওযা হত। এমনকী প্রচন্ড ঠান্ডায় তাকে জামাকাপড়হীন অবস্থায় ব্য়ালকনিতে আটকে রাখা হত বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে। তবে কেন তারা এই ধরনের অত্যাচার করতেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নার্সের মতো পেশায় থেকেও এই ঘটনা কীভাবে তিনি ঘটাতেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।