ঢকঢক করে গিলতে হবে দেশি মদ। সময় মাত্র ১০ মিনিট। মদের ঠেকে এমনটাই বাজি ধরতে বলেছিল বন্ধুরা। শর্ত ছিল, বরাদ্দ সময়ে মদ না শেষ করতে পারলে হোটেলের দাম মেটাতে হবে। বাজি অবশ্য জিতেই গিয়েছিলেন জয় সিং। ১০ মিনিটের মধ্যেই দেশি মদের বোতল পুরো খালি করে ফেলেন জয়। তবে বাজি জেতার জন্য প্রাণ দিতে হল তাঁকে। কম সময়ে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে শরীর খারাপ হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। বছর ৪৫ বয়সের জয় সিং পেশায় রিকশাচালক। দুই বন্ধুর সঙ্গে মদ খেতে গিয়ে দেদার মদ গিলছিলেন তিনজনেই। তার ফাঁকেই হঠাৎ বাজি ধরতে বলে বন্ধুরা। সেই মতো ১০ মিনিটে মদ খেয়ে দেখান তিনি। তারই মর্মান্তিক পরিনতিতে মৃত্যু্য কোলে ঢোলে পড়লেন জয়। অভিযোগ পাওয়ার পর দুই বন্ধুকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ।
শিল্পগ্ৰামে পেশায় রিকশাচালককে জয়। বাড়িতে তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। এই দিন রাতে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তার ১৬ বছরের ছেলে করণ। বাবাকে দেখেই প্রথমে কাছাকাছি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। কিন্তু সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলেও একই ব্যবহার পায় কিশোর করণ। সেখান থেকে কোনওরকমে এসএন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভোলা ও কেশব নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০৪ ধারায় মামলা (ইচ্ছাকৃত খুন) করা হয়েছে। তাজগঞ্জ পুলিশের এসএইচও বাহাদুর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোলা ও কেশব দুজনকেই গ্ৰেফতার করে জেলে ঢোকানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, শিল্পগ্ৰাম পার্কিংয়ের কাছে এই দিন রাতে তারা মদের ঠেকে জড়ো হয়েছিল।
জয় সিং-এর ভাই সুখবিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোলা ও কেশব দুজনেই গত ১০ বছর ধরে দাদার বন্ধু ছিল। এদিন দাদার শরীর অসুস্থ হলেও একটা খবর দেয়নি তারা। বরং তাঁর কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে ওভাবেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গত বছরেই ই-রিকশা কিনেছিল সুখবিন্দরের দাদা। তারই ঋণ মেটাতে ৬০ হাজার টাকা সঙ্গে রেখেছিল জয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup