জাল নথি DI অফিস থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, গোঠা হাইস্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে জানাল CID

মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় DI-অফিসের যোগ রয়েছে আদালতে স্পষ্ট করল CID. তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে জাল নথির ভিত্তিতে অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই যুবক চাকরি করছিলেন তা মুর্শিদাবাদের DI অফিস থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর পর ফের বিচারপতি বসু বলেন, প্রধান শিক্ষকের পক্ষে একা এই দুর্নীতি করা সম্ভব নয়।

আদালতে সিআইডি জানায়, ছেলেকে জাল নথি ব্যবহার করে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগে গোঠা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশিস তিওয়ারিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। আপাতত সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। আশিসের ছেলে অনিমেষ পলাতক। তবে তার গতিবিধি সম্পর্কে আন্দাজ রয়েছে সিআইডির গোয়েন্দাদের। এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যে জাল নথির ভিত্তিতে অনিমেষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তা মুর্শিদাবাদের DI অফিস থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর পর বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, আশিস তিওয়ারির একার পক্ষে এই দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। এর পিছনে ডিআই অফিসের যোগ রয়েছে। নইলে ৩ বছর ধরে কী করে বেতন পেলেন একজন ভুয়ো শিক্ষক। বিচারপতি বলেন, সুপারিশপত্র তো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে পাঠানো হয়। এখানে প্রধান শিক্ষকের দফতর থেকে সুপারিশপত্র জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে পাঠানো হয়েছে। তাও কারও মনে কোনও প্রশ্ন জাগল না কেন?

এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের বর্তমান ও প্রাক্তন বিদ্যালয় পরিদর্শককে জেরা করেছে সিআইডি। জেরার মুখে পড়েছেন DI অফিসের প্রত্যেক কর্মী।