হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোর তিথি মহাশিবরাত্রি। দক্ষিণ ভারতের পঞ্জিকা মতে প্রতি বছর মাঘ মাসে ও উত্তর ভারতের পঞ্জিকা মতে, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে এই বিশেষ তিথিতে পুজো হয় ত্রিলোকেশ্বরের। বছরের প্রতি মাসেই একটি করে তিথি শিবরাত্রি হিসেবে পালিত হয়। তবে মহাশিবরাত্রি নানা কারণে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পুরাণমতে, মহাশিবরাত্রিতে বাবা ভোলানাথ প্রলয়ঙ্কর তান্ডব নৃত্যে মেতে ওঠেন। আবার অন্য পুরাণের মতে, এই দিনেই বিয়ে হয়েছিল হরগৌরীর। তাই এই তিথি মহাশিবরাত্রি নামে পরিচিত। এই বছর শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিশেষ তিথির লগ্ন ও পুজোনির্ঘন্ট।
মহাশিবরাত্রির দিন উপোস করে বাবা ভোলানাথের পুজোয় বসতে হয়। এই দিন সাবুদানা, ফল, সবজি দিয়েই উপোস ভাঙার উত্তম আহার তৈরি করার রীতি রয়েছে। তবে উপোসের সময় কিছু নিয়ম মাথায় রাখা জরুরি।
দেখে নিন এই দিন উপোসের সময় কোন কোন কাজ করবেন
- মহাশিবরাত্রির উপোস করার জন্য একদিন আগে থেকে সংকল্প করতে হয়। ব্রতের একদিন আগে সকাল সকাল স্নান করে শিবের পুজো করতে হয়। হাতে সামান্য চাল ও জল নিয়ে সংকল্প করতে হয়।
- যেদিন উপোস, সেদিন ভোরে ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে পড়তে হবে।
- উপোসের দিন সকালে স্নান করে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতে হবে। সাদা রঙের পোশাক পরলে ভালো হয়।
- দিনে নির্দিষ্ট সময় শিবের স্তোত্র পাঠে বসতে হবে। দেবাদিদেবের স্তোত্র উচ্চারণ করে মন বিশুদ্ধ করে নেওয়া জরুরি।
- যেহেতু শিবরাত্রির পুজো রাতে হয়, তাই বিকেলের দিকে আরেকবার স্নান করে নিন। সাধারণত পুণ্যার্থীরা পরের দিন উপোস ভাঙেন।
- যাঁদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁরা উপোস করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- পুণ্যার্থীরা সাধারণত পরের দিন সূর্য ওঠার পর ও চতুদর্শী তিথি শেষ হওয়ার আগে উপোস ভাঙেন। দৃকপঞ্চং রীতি মতে, এতেই সবচেয়ে বেশি পুণ্যার্জন হয়।
কোন কোন কাজ এই দিন না করাই ভালো জেনে নিন
- উপোসের সময় ভাত, গম বা ডাল দিয়ে কোনও খাবার খাওয়ার রীতি নেই এই দিন।
- আমিষ খাবার যেমন রসুন, পেঁয়াজ, আজকের দিনে এড়িয়ে চলুন।
- শিবলিঙ্গ পুজোর সময় নারকেল জল ঢালবেন না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup