IT Survey in BBC Office:’সাংবাদিকদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ, কাজ করতে না দেওয়া’ নিয়ে অভিযোগ, আয়কর সমীক্ষা নিয়ে বিবিসি খুলল মুখ

নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রকাশ্যে আসার একমাসের মধ্যেই ভারতে দিল্লি, মুম্বইতে বিবিসির দফতরে আয়কর অফিশিয়ালদের সদ্য একটি ‘সমীক্ষা’ চলেছে। সেই সমীক্ষায় সমস্ত রকমের সহায়তার বার্তা দিয়ে টুইট করে বিবিসি। এবার বিবিসির অভিযোগ, আয়কর অভিযানের সময় তাদের সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করা হয়েছে।

বিবিসির হিন্দি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক আর্টিক্যালে লেখা হয়েছে,’বিবিসির সাংবাদিকদের অনেক ঘণ্টার জন্য কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আয়কর কর্মীরা এবং পুলিশকর্মীরাও বহু সাংবাদিকের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করেন।’ বিবিসির দাবি, অফিসে সংবাদিকদের কম্পিউটার খতিয়ে দেখা হয়েছে। ফোনে নজর রাখা হয়েছে। এছাড়াও জানতে চাওয়া হয়েছে দফতর কীভাবে কাজ করে। ওই আর্টিক্যালে লেখা হয়েছে,’এসবের সঙ্গেই দিল্লি অফিসে কর্মরত সাংবাদিকদের নিজের লেখা লেখা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এই সমীক্ষা সম্পর্কে।’ অভিযোগ,’ইংরাজি ও হিন্দি ভাষার সাংবাদিকদের কাজ করা রুখে দেওয়া হয়।’ আর্টিক্যালে বলা হচ্ছে,’সিনিয়ারের বারবার অনুরোধ ছিল যাতে কাজের গতি না আটকে দেওয়া হয়।’ অভিযোগ, খবরের ‘সম্প্রচারের খানিক আগে সংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হয়।’ প্রসঙ্গত, নিউজ হাউজের অন্দরে খবর সম্প্রচারের ঠিক আগের মুহূর্তে থাকে চরম ব্যস্ততা। (‘ভারত হিন্দুরাষ্ট্র খুব শিগগির হবে’, বাগেশ্বরধামের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী ফের খবরে)

উল্লেখ্য, সদ্য এক টুইটে এই বিষয়টি ভাইরাল হতে থাকে। ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে, সপ্তাহের শুরুতেই মুম্বই ও দিল্লিতে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সমীক্ষা চলে। তারপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়কর অফিসারদের অভদ্র ব্যবহারের অভিযোগ সংক্রান্ত এই আর্টিক্যাল উঠে আসে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা বিবিসি দফতরে কিছু আয়কর সংক্রান্ত নথি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সেই কারণে বিবিসির অর্থবিভাগে তাঁর কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উল্লেখ্য, সদ্য ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ শীর্ষক এক তথ্যচিত্র ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। গুজরাট দাঙ্গার সময়ে ২০০২ সালের প্রসঙ্গ সেখানে উঠে আসে। তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই তথ্যচিত্র দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শন নিয়ে বিস্তর শোরগোল হয়। তথ্যচিত্রের কনটেন্টের অংশ ইউটিউব ও টুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেয় কেন্দ্র। তারপর চলে আয়কর দফতরের এই সমীক্ষার অভিযান।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup