Leopard: শিলিগুড়ির কাছেই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই মহিলা চা শ্রমিকের, কী সাহস!

অন্যান্য়দিনের মতোই পেটের টানে চা বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন মহিলা চা শ্রমিক ফাতিমা লাকড়া। বয়স ৪৮ বছর। শিলিগুড়ির বাগডোগরার কাছে তাইপু চা বাগানে কাজ করছিলেন তিনি। আর ঝোপের মধ্য়েই লুকিয়ে ছিল সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। আচমকাই হামলা চালায় চিতাবাঘটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাফিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। একেবারে আঁচড়ে কামড়ে দিয়েছে সারা শরীরে। তবু হেরে যাননি ফাতিমা। তবে শেষ পর্যন্ত রণেভঙ্গ দিয়ে পালায় চিতাবাঘটি। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, বাগানের ৭ নম্বর সেকশনে কাজ করছিলেন তিনি। অন্যান্য শ্রমিকরাও ছিলেন। আচমকাই ঝোপের মধ্যে কিছু একটা যেন নড়ে ওঠে। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাফিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। বিশাল তার ওজন। তারউপর তেমনি ক্ষিপ্রতা। তবে মনোবল হারাননি তিনি। কোনওরকমের চিতাবাঘের হামলা থেকে তিনি নিজেকে রক্ষা করেন। তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফালা ফালা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তবুও তিনি মনোবল হারাননি। তাঁকে প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় চা বাগানের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

তবে ওই মহিলা চা শ্রমিকের সাহসিকতার কথা এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। সূত্রের  খবর, ওই মহিলা চা শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।  তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে চিতাবাঘের হামলার নজির রয়েছে। কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরে আসেন। কাউকে টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। 

একাধিক জায়গায় চা বাগানের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে চিতাবাঘ। এরপর আচমকাই ঝোপের মধ্যে থেকে লাফিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। অনেক ক্ষেত্রে চা বাগানের শুকনো নালায় বাচ্চা প্রসব করে চিতাবাঘ। সেই বাচ্চাকে রক্ষার করার প্রতি মা চিতাবাঘের বাড়তি নজর থাকে। সেকারণেও চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। আবার পথ ভুলে লোকালয়ে চিতাবাঘ চলে আসারও একাধিক নজির রয়েছে উত্তরবঙ্গে। এমনকী শিলিগুড়ি শহরেও চিতাবাঘ চলে এসে গৃহস্থের রান্নাঘরে ঢুকে পড়ার নজির রয়েছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup