Adeno Virus: অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কিশোরীর মৃত্যু কলকাতায়, রয়ে গেল রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার

করোনাভাইরাস সামলে দেওয়া গেলেও এখন মাথাব্যথার কারণ হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। আর এই অ্যাডিনো ভাইরাসের জেরে রাজ্যে আবার এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হল রাষ্ট্রপ্রতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কিশোরী উর্জাসাথী রায়চৌধুরীর (‌১৩)‌। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিল কিশোরী। কিন্তু নানা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

মৃত কিশোরী উর্জাসাথী রায়চৌধুরীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিল এই কিশোরী। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামে এক রোগে আক্রান্ত ছিল উর্জাসাথী। তাতেই তার মৃত্যু হল। বুধবার রাতেই তার মৃতদেহ কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। আর এই অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ নিয়েও বাড়ছে আতঙ্ক।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঊর্জাসাথী রায়চৌধুরী জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর দেহে অ্যাডিনো ভাইরাস ধরা পড়ে। মাসকুলার অ্যাট্রফি থাকায় শরীর নিয়ে লড়াই করতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লড়াই শেষ হয় কিশোরী উর্জাসাথীর। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ওই অবস্থাতেই তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ফলে বাঁচানো যায়নি।

এদিকে এই জ্বর, সর্দি–কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর। সুতরাং এখন রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। তার মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ছোটদের ক্লাসে ওঠার পরীক্ষাও চলছে অন্যান্য স্কুলে। তাই অভিভাবকরা আতঙ্কে রয়েছেন। অন্যদিকে রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সঙ্গীতে দক্ষতা ছিল ঊর্জাসাথী রায়চৌধুরীর। সেই দক্ষতার জন্যই ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছিল এই কিশোরী। তার এমন মৃত্যুতে পরিবারের কাছে বড় আঘাত। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস এবং শ্বাসনালির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup