IIT research findings: চামড়া থেকেই তৈরি হতে পারে হৃদপিণ্ড, আয়ুও নাকি বাড়বে, চমকে দিল IIT-র গবেষণা

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হতে থাকে। নানা কারণে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলিরও বয়স হতে থাকে। কোষ একবার নষ্ট হয়ে গেলে তা ‘স্কার টিস্যু’র (ত্বকে কোনও কাটাছেঁড়ার দাগ থাকলে যে বিশেষ রঙের কোষ সেখানে থাকে) চেহারা নেয়। সেই হৃৎপিণ্ডকেই এবার সতেজ আর চাঙ্গা করে তোলা যাবে। ত্বকের কোষ থেকেই তৈরি করা যাবে হৃৎপিণ্ডের কোষ! সম্প্রতি আইআইটি গুয়াহাটির বিজ্ঞানীদের গবেষণায় তেমন সাফল্যই মিলল।

হৃৎপিণ্ডের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষগুলির জায়গায় নতুন কোষ তৈরি করতে একটি ‘রিকম্বন্যান্ট টুলবক্স’ তৈরি করেছেন তাঁরা। সেই টুলবক্সের ফর্মুলা দিয়েই বিশেষ কায়দায় ত্বকের কোষ বা দেহ কোষ থেকে তৈরি করা যাবে হৃৎপিণ্ডের কোষ। দেহ কোষ বা সোমাটিক সেলকে গবেষণাগারেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে হৃৎপিণ্ডের কোষের রূপ দেওয়া যাবে। শুক্রাণু ও ডিম্বাণু কোষ বাদে দেহের সবরকম কোষকেই বলা হয় সোমাটিক সেল।

হৃৎপিণ্ডের কোষ আলাদা কীসে?

ত্বক বা দেহ কোষ থেকে অনেকটাই আলাদা হৃৎপিণ্ডের কোষ। কার্ডিওমায়োসাইট নামক কোষগুলির বিশেষ ধর্মের জন্য আমাদের হৃৎপিণ্ড সংকুচিত প্রসারিত হতে পারে। অর্থাৎ হৃৎস্পন্দন চলে। সেই কোষগুলি নষ্ট হলে হৃৎপিণ্ডও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। শেষে রোগীকে বাঁচাতে হলে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে হয়। প্রতিস্থাপনের জন্য এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে হৃৎপিণ্ড পাওয়া যায় না। আবার হৃৎপিণ্ডের কোষ তৈরির বদলে অঙ্গটি প্রতিস্থাপন করলেও রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত নয়। কারণ একজনের হৃৎপিণ্ড অন্যজনের শরীর মানিয়ে নাই নিতে পারে। তাই রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিনের সাহায্যে নতুন কোষ তৈরি করা গেলে অনেকটাই সহজ হবে চিকিৎসা পদ্ধতি!

হৃৎপিণ্ডের কোষ তৈরির পদ্ধতি কী নিরাপদ?

এতদিন ধরে হৃৎপিণ্ডের কোষ তৈরির যে পদ্ধতি চালু আছে, তা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। কারণ দেখা যায়, রোগীর দেহে নতুন কোষগুলি অন্যভাবে হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আইআইটির আবিষ্কৃত পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।‌ কারণ এই পদ্ধতিতে সোমাটিক সেলের প্রোটিনকে বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কায়দায় হৃৎপিণ্ডের কোষের প্রোটিনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। রিকম্বিন্যান্ট টুলবক্সে থাকা ছয়টি প্রোটিন এই কাজে সাহায্য করছে। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে তৈরি কোষগুলি হৃৎপিণ্ডের প্রকৃত কোষগুলির মতোই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সক্ষম। ফলে রোগীর কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানান বিজ্ঞানীরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup