Suicide: ভাইবোন পরিচয় দিয়ে ভাড়া নিয়েছিল যুগল, আগরপাড়ায় উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

আগরপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুণ ও এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। আগরপাড়ার নিরঞ্জন সেন পল্লি এলাকার ওই বাড়িতে থাকতেন তারা। বুধবার সকালে তাদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। এরপরই খড়দহ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা দুজনের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ দেহ দুটিকে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে। মৃত তরুণের নাম অঙ্কিত ভারতী(২০)। অন্যদিকে কিশোরীর নাম অঞ্জলি কুমারী(১৫)। তাদের দুজনই আদপে বিহারের বাসিন্দা। কিন্তু কেন তাদের এই ভয়াবহ পরিণতি হল?

ওই ভাড়াবাড়ির মালিক দিলীপ কুমার সাউ জানিয়েছেন, ১১দিন আগে ওরা ভাড়া নিয়েছিল। একজন যুবক ওদের নিয়ে এসেছিল। সে বলেছিল ওরা ভাইবোন। ওরা এখানে থাকবে। এরপরই তাদের থাকতে দিয়েছিলাম। এরপর আধার কার্ড চেয়েছিলাম।  তারা সেটাও দেখাল। তারপর তাদের ভাড়া দিয়েছিলাম। ৫-৬দিন বাদে বলল তারা খালি করে চলে যাবে। কাজ করবে বলে তারা ভাড়া নিয়েছিল। ওরা ভাইবোন বলে ভাড়া নিয়েছিল। বিবাহিত কি না জানা নেই। ওর বাবা এদিন এসেছিল। এদিন দরজা খুলতেই দেখি ওরা দুজনে ঝুলছে। মনে হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। কী কারণে কী হল সেটা বুঝতে পারছি না।

ছেলেটির বাবা জানিয়েছেন, ওরা বলছিল বিয়ে করবে। সেটা শুনেই আমি এসেছিলাম। এরপর দরজা খোলার জন্য বার বার বলছিলাম। কিন্তু কিছুতেই খুলছিল না। বললাম তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেব। চিন্তা করো না। কিন্তু তবুও দরজা খুলল না। শেষ পর্যন্ত দরজা ঠেলে খুলে বুঝতে পারলাম ওদের দেহ ঝুলছে। 

এদিকে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। বাসিন্দাদের ধারনা তাদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্ভবত বাড়ির লোকজন তাদের এই সম্পর্কের কথা মানতে পারেনি। তারপরই তারা বিহার থেকে বাংলায় চলে আসে। এখানে তাদের আত্মীয় থাকে। সেই পরিচয়ে তারা আগরপাড়ার একটি বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু কাজ জোগাড়় করা, সংসার প্রতিপালন করা সহ নানা বিষয় নিয়ে তারা সম্ভবত মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। সম্ভবত তারই পরিণতিতে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তারা।

এদিকে এভাবে একই ঘর থেকে দুজনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই দুজনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে তাদের আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে সেটাও দেখা হচ্ছে।