ফাহিম-কিংসলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর বড় জয়

আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েও ম্যাচ জেতা হয়নি আবাহনীর। তবে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতেছে মারিও লেমসের দল। শুক্রবার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম-এলিটা কিংসলে-নাবীব নেওয়াজ জীবনের নৈপুণ্যে আবাহনী ৭-০ গোলে এফসি উত্তরাকে উড়িয়ে দিয়েছে। ফাহিম ও কিংসলে হ্যাটট্রিক করেছেন। জীবন করেছেন একটি। 

ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে খেলেছে আবাহনী। তবে প্রথম গোল পেতে বেশ সময়ও লেগেছে। প্রথমার্ধে মাত্র এক গোলে এগিয়ে ছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ ঘড়ির ৩৫ মিনিটে পেয়েছে প্রথম গোল। পিটার নোরাহর কাটব্যাক থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম দৌড়ে এসে প্লেসিং করে জাল কাঁপিয়েছেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফাহিমের কোনাকুনি জোরালো শট ক্রস বার ছুঁয়ে বাইরে দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। আবাহনী বিরতির পরই অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়ায়। একের পর এক গোল করে প্রতিপক্ষের রক্ষণ চূর্ণ করেছে। ৫৪ মিনিটে ডান প্রান্তে আলমগীর মোল্লার ক্রসে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন কিংসলে।

৫৭ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ হয়েছে। বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। চার মিনিট পর নাবীব নেওয়াজ জীবনের ডান প্রান্তে দেওয়া ক্রসে হেডে দলকে চতুর্থ গোল এনে দেন কিংসলে। ৬৪ মিনিটে পিটার নোরাহর কাটব্যাক থেকে এবার জীবন প্লেসিং করে দলের ব্যবধান ৫-০ করেছেন। ৭৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম প্লেসিং করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে কিংসলে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে এরপরই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন।

দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামাল ও ফর্টিস এফসি ১-১ গোলে ড্র করেছে। এছাড়া মোহামেডান ১-০ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে।

আবাহনী ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়, তিন ড্র ও এক হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। এফসি উত্তরা সমান ম্যাচে অষ্টম হার ও দুই ড্রতে আগের দুই পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে তলানিতেই। এছাড়া শেখ জামাল ১৪, ফর্টিস ১২, মোহামেডান ও রহমতগঞ্জ ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।