Hoimonti-Madan: এক ফ্রেমে হৈমন্তী–মদন, কেন এমন ঘটেছিল?‌ বিতর্ক উঠতেই রবীন্দ্রনাথকে টানলেন মিত্র

রাজ্য–রাজনীতিতে এখন চর্চিত নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। তাঁর মা বলছেন, মেয়ে মৃত। গোপাল দলপতির স্ত্রী মডেলিং থেকে জীবন শুরু করলেও রং ধরেছে ছত্রে ছত্রে। যদিও এখন গোপাল–হৈমন্তী একসঙ্গে থাকেন না। তবে হৈমন্তীর সঙ্গে রাজ্যের ‘কালারফুল’ বিধায়কের ছবি পাওয়া গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হ্যাঁ, কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে হৈমন্তীর সেলফি এখন বাজার গরম করে দিয়েছে। তবে এসব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হোক চান না মদন মিত্র।

যদিও কামারহাটির বিধায়কের দাবি, স্কুল–কলেজে যাওয়া মেয়েদের মাঝেও তাঁর ‘ক্রেজ’ আছে। মেলা হোক বা খেলার মাঠ, মদন মিত্রকে দেখতে পেলে অনেকেই সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়তে চান না। হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর সেলফিও সেভাবেই হয়ত উঠেছে। তিনি হৈমন্তী বলে কাউকে চেনেন না। কুন্তল বা গোপালের সঙ্গেও পরিচয় নেই। তাঁর সঙ্গে রোজ বহু নারী ছবি তোলেন। আর নিজস্বী তোলার আবদার করেন। তিনি সেই আবদার রাখেন। আর অনেকে আবার সেই ছবি বাড়িতে বাঁধিয়ে রাখেন। যেমন বাঁধিয়ে রাখা হয় রবীন্দ্রনাথের ছবি।

ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র?‌ এই রহস্যময়ী নারীর নাম প্রথম রাজ্য–রাজনীতিতে নিয়ে আসেন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। যিনি এখন ইডির হেফাজতে রয়েছেন। এই রহস্যময়ী নারী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মদন মিত্রের ছবি এখন ভাইরাল। এই ছবি চর্চা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‌আমার এক শুভানুধ্যায়ী আমাকে সকালে পাঠিয়েছেন। আমার পাশে উনি খুব ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি বললাম, আমাকে তৃণমূলের বিধায়ক বা পার্টির নেতা না করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দিলে অনেক বেশি মহিলা আমি সমবেত করতে পারতাম। এখন আমি কী করে বলব, কে কখন ছবি তুলছে।’‌

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মদন মিত্রের মিল কোথায়?‌ এই ছবি যে তাঁরই সেটা অস্বীকার করেননি মদন মিত্র। বরং তিনি আগ বাড়িয়ে বলেন, ‘‌অনেকে আমার সঙ্গে ছবি তুলে বাঁধিয়ে রেখে দেয়। লোকে যেমন রবীন্দ্রনাথের ছবি বাঁধিয়ে রাখে, তেমনই আমার ছবিও বাঁধিয়ে রাখলে অসুবিধা কোথায়? সেলফি তুলব বলে ঝুলে পড়েছে। কলেজ আর স্কুলের মেয়েরা। আমি কী করব। ধাক্কা মারব? মহিলারা যখন সেলফি তোলেন হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছু করারও থাকে না। আফটার অল মহিলা। কে কখন সেলফি তুলেছেন বলতে পারব না।’‌