Murshidabad Incident: পুলিশের হাতে গ্রেফতার প্রেমিক–প্রেমিকা, মুর্শিদাবাদে কেন এমন ঘটল?

প্রেমের টান সবাই বুঝতে পারে না। যাদের জীবনে এসেছে তারাই সেটা উপলব্ধি করতে পারে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এমন কথাই বলেছেন প্রেমিক–প্রেমিকা। অনেক কথা হওয়ার পর একে–অপরকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তাই প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিতে বাংলাদেশের যুবক প্রেমিক কাঁটাতার পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন। কয়েকদিন থেকেও ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

প্রেমিকা দাবি করেছিলেন, তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালবাস তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা করতে হবে। আর হৃদয়ের সেই ভালবাসার টান বোঝাতেই এবং প্রেমিকার কথা রাখতেই এপারে চলে আসেন বাংলাদেশি যুবক প্রেমিক। কিন্তু এত কিছুর পরও শেষরক্ষা হল না। পুলিশের প্রেমিককে ধরে ফেলল। আর একইসঙ্গে অবৈধভাবে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রেমিকাও। তাঁরাই পুলিশকে জানান, প্রেমের টান এমনই হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার হন প্রেমিক যুগল। তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাঁদের সাতদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পদ্মাপারের কাঁটাতার পেরিয়ে এপারে আসা যুবকের নাম সোহেল রানা। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। হরিহরপাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। আর সেটাই প্রেমে রূপান্তরিত হয়। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তাই যুবকের দাবি, প্রেমিকার আবদার রাখতেই কাঁটাতার পেরিয়ে গতবছরের শেষে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে আসেন তিনি। সেখান থেকে হরিহরপাড়া।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গ্রেফতার হওয়া যুবক জেরায় পুলিশকে জানান, তাঁর কাছে পাসপোর্ট বা ভিসা কিছুই ছিল না। ছিল শুধু বুকভরা প্রেম। আর তাই নিয়েই তিনি অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। হরিহরপাড়ায় বেশ কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন সোহেল। এমনকী কলকাতায় এসে একটি বেসরকারি প্রকল্পে কাজও করেছেন। সোহেল হরিহরপাড়ার নসিপুরে প্রেমিকার বাড়িতে আসেন। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে যুবতী প্রেমিকার বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁদের একসঙ্গে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিং এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup