যুবকের হাতের চারটে আঙুল চপার দিয়ে কেটে নিল দুষ্কৃতী, কারণ জানলে চমকে যাবেন

পঞ্জাবের  বোলাঙ্গির বারমাজরা গ্রামে ভয়াবহ ঘটনা। ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের হাতের চারটি আঙুলকে কেটে কুচি কুচি করে ফেলার অভিযোগ। অভিযুক্তর ভাইকে খুন করার পেছনে ওই যুবকের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আর সেই রাগেই বদলা নিতে তার হাতের চারটি আঙুল এভাবে নৃশংসভাবে কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। 

এদিকে হরদীপ নামে ওই যুবকের কাটা আঙুলগুলি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণের কারণে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। 

সপ্তাহ দুয়েক আগের ঘটনা। কিন্তু পুলিশ গোটা ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। কংগ্রেস এমএলএ সুখপাল সিং খাইরা ও বিজেপি নেতা মঞ্জিন্দর সিং টুইট করে বিষয়টি প্রকাশ্য় এনেছেন।

তবে পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঘটনার দু সপ্তাহ বাদে পুলিশ মাত্র একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। হরদীপ নিজে গাড়ি চালকের কাজ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গৌরব শর্মা নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। 

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে গৌরব ঘটনার কয়েকদিন আগেই চন্ডীগড় জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। ফের তাকে পঞ্জাব জেলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ওই গৌরবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খুনের চেষ্টা, হামলা, মাদক কারবার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

হরদীপের দাবি, ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা তার কাছে দুজন আসে। তারা পুলিশের সিআইএ বলে দাবি করে। তারা বলে, তোমার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ আছে। এরপর তারা একটি গাড়িতে চাপিয়ে ফেলে। এদিকে সে দেখতে পায় গৌরব ওরফে গোরি গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে। এরপরই সে বুঝতে পারে ব্যাপারটি একটি ফাঁদ। এরপর তাকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর গোরির ভাইয়ের খুনের পেছনে কারা রয়েছে তার কথা জানতে চায় সে। এরপর একজন মোবাইলে রেকর্ড করা শুরু করে। তারপর একটি ধারালো ছুরি দিয়ে তার হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলে। এরপর তারা গাড়িতে চেপে পালায়। তবে তার আগে তারা মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে পালায়।

এরপর সে যন্ত্রণায় ককিয়ে ওঠে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আঙুল জোড়া লাগানো যায়নি।