Madan Mitra: ‘‌এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে?’‌, তৃণমূলকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন মদন

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যখন একের পর এক গ্রেফতার এবং নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের তখন দলের শীর্ষনেতৃত্বের উদ্দেশে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন মদন মিত্র। তাঁর এই মন্তব্য়কে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের পরতে পরতে সামনে আসছে নতুন নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সামনে আসে পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি বাতিল। তার পর মানিক ভট্টাচার্য, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতিদের নাম সামনে আসে। এবার নতুন সংযোজন রহস্যময়ী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।

ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র?‌ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক নাম প্রকাশ্যে আসায় এবার নিজের দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‌কুন্তল বলছে সব টাকা দলপতিকে দিয়েছে। তার পর কালীঘাটের কাকু। এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক। কুন্তলকে দলের দায়িত্বের চিঠি কে দিয়েছে? কার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে? একজন নেতা তো বলুক। তৃণমূল করেন, না করেন না। তাহলে আমরা পার্টির ছেলেদের বলতে পারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এমন চলবে! এটা মানা যাচ্ছে না। যে সব নাম উঠে আসছে তৃণমূল করে বলে, এত পচা লোকজন তৃণমূল করে? ছিঃ, কারা এদের নেতা? কে ঢোকাচ্ছে? এটা খোঁজা হোক। একটা মিটিং ডাকা হোক।’‌

বিষয়টি ঠিক কেমন দাঁড়িয়েছে?‌ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিকের ঘনিষ্ঠ তাপসের অভিযোগ, এই টাকা নিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। কুন্তল আবার দাবি করেছেন, সমস্ত টাকা রয়েছে গোপাল এবং তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর কাছে। তাই নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক মদন মিত্র। যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। এই নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

আর কী বলেছেন কালারফুল নেতা?‌ এদিন দলের মুখপাত্রদের উদ্দেশেও চ্য়ালেঞ্জ ছুড়েছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‌হুগলির নেতা বলতে কল্যাণ, সুদীপ্ত, রত্না, এদের চিনি। তার বাইরে এরা তৃণমূল করে কিনা, মুখপাত্ররা আছে, বলুক। তৃণমূল করলে বলুক। না করলে বলুক, তৃণমূল করে না।’‌ এভাবে বিপদের দিনে দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। একেবারে গোড়া থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকা, দলের অভিজ্ঞ নেতা মদনের এমন মন্তব্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।