Kolkata-Coochbehar flight: কলকাতা-কোচবিহার বিমানের টিকিট দেওয়া হচ্ছে BJP অফিস থেকে, বিস্ফোরক রবীন্দ্রনাথ

গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতা–কোচবিহার রুটে চালু হয়েছে সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমান। এই বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত রয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। এবার এই বিমানের টিকিট বিক্রি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি কার্যালয় থেকে কলকাতা–কোচবিহার বিমানের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এই বিমানে আগামী তিন মাস পর্যন্ত টিকিটের দাম করা হয়েছে ৯৯৯ টাকা। কিন্তু, সাধারণ মানুষ সেই টিকিট পাচ্ছে না। বিজেপি নিজেদের ইচ্ছেমতো নিজেদের লোককে কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য দলের পার্টি অফিস থেকে বিজেপি কর্মীদের এই টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘সব টিকিট বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা কলকাতা যাচ্ছেন। তাহলে সাধারণ মানুষের লাভ কী হল।’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এই বিমানে করে প্রথম দিন কলকাতা থেকে কোচবিহারে ফিরেছেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তিনি বলেন, ‘আমরা টিকিট কেটে বিমানে করে ফিরেছি। তৃণমূলের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা চাই নিয়মিত বিমান চলুক। সাধারণ মানুষ সেই পরিষেবা উপভোগ করুক।’

তবে রবীন্দ্রনাথ টিকিট বুকিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ বিমান সংস্থা। তাঁদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকিট বুকিং হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোচবিহার কলকাতা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার দিন কলকাতা থেকে কোচবিহারের ফিরেছিলেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান। যদিও তৃণমূলের কোনও নেতা অবশ্য বিমানে চড়েননি। এই বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মূলত সিঙ্গল ইঞ্জিন বিমান চালু করা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে রাজ্য সরকার বসে থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ডবল ইঞ্জিন বিমান চালানোর দাবি করেন। পাশাপাশি বিমানবন্দর তৈরি নিয়েও তিনি রাজ্যের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup