শান্তিপ্রসাদের ফ্ল্যাটে সোনা – নগদ উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি বিকাশের

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলবন্দি শান্তিপ্রসাদ সিনহার বেনামি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল সোনা ও নগদ উদ্ধারের পরই একযোগে তৃণমূলকে আক্রমণ করল বাম ও বিজেপি। বুধবার বিকেলে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর শাসকদলকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘এতদিন সিবিআই কী করছিল? যে কমিটির সভাপতি ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সেটি গঠন হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদরা তাঁর নির্দেশেই কাজ করেছেন। সিবিআইকে এটা বুঝতে হবে। এই দুর্নীতির তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অবিলম্বে মাথাকে গ্রেফতার করতে হবে। যিনি এই কমিটি গঠন করেছিলেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।’

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এটা খুবই সামান্য। এরা ১২ লাখ – ১৫ লাখ করে রেট নিয়েছে। গোটাচারেক চাকরি বিক্রির টাকা হতে পারে। এরা প্রচুর চাকরি বেচেছে। এটা কার্যত সরাতে পারেনি। সরাতে গেছিল কিন্তু অন্য কেউ ঝুঁকি নেয়নি। যাদেরকেই বলেছে, টাকাটা রেখে দে, বেরিয়ে এলে নেব। কেউ ঝুঁকি নেয়নি। এখন ধরা পড়েছে। এই সমস্ত চোর – ডাকাতদের জেলে রেখা শুনানি করিয়ে সাজা হওয়া উচিত’।

বুধবার সন্তোষপুরে এসপি সিনহার বেনামি একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকে দেড় কেজি সোনা, ৫০ লক্ষ নগদ, ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা ও সম্পত্তির নথি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত ৮ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ। তার পর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন তাঁকে হেফাজতে রেখে জেরা করেছে সিবিআই। প্রশ্ন উঠছে, জেরায় কেন এই সম্পত্তির কথা বার করতে পারলেন না গোয়েন্দারা।