Adenovirus: একই হাসপাতালে আবার মৃত্যু দুই শিশুর, রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে কি অ্যাডিনোভাইরাস?

অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই আবার বি সি রায় শিশু হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। আজ, বুধবার এই হাসপাতালে আরও ২ শিশুর মৃত্যু হল। সুতরাং তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। দু’‌দিন আগেই এমন ঘটনা ঘটেছিল কলকাতায়। জেলা থেকে চিকিৎসার জন্য শহরে এসে মৃত্যু হয়েছিল শিশুদের। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে হাসপাতালে?‌ আজ, বুধবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও দুই শিশুর। এবার মৃত্যু হয়েছে চার বছরের একটি শিশুর। গোবরডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিশুটি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। তারপর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। তখন প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে শিশুকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ, বুধবার ভোর ৪.৫৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন , নিউমোনিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে।

আর কী ঘটেছে শহরে?‌ এদিকে বারাসতের নবপল্লির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা রবিবার সন্তানের জন্ম দেন। বারাসত হাসপাতালে জন্ম হয় সদ্যজাত শিশুর। ওইদিনই ফুলবাগান শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল শিশুটির। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তখন ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। এই পর পর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজ্যে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে মঙ্গলবার জ্বর–শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তিন শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই নিউমোনিয়া হয়েছে। গত তিনদিনে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে হরিণঘাটার একটি শিশু। মৃত্যু হয় নদিয়ার হরিণঘাটা এবং হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের একটি শিশুর। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে আমজনতা কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তাই অ্যাডিনো–সহ মরশুমি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাডভাইজরি জারি করল স্বাস্থ্যদফতর। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য আলাদা ক্লিনিক খুলতে হবে। আউটডোরের লাইনে সময় নষ্ট হওয়া আটকাতে এই পদক্ষেপ। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আউটডোরের পরও শিশু বিভাগে ২৪ ঘণ্টার ইমার্জেন্সি চালু রাখতে হবে। অন্যান্য হাসপাতালে আউটডোরের পর ইমার্জেন্সিতে শিশু চিকিৎসক থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর—১৮০০৩১৩৪৪৪২২২।