Coronavirus Origin: সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগ আছে নাকি কোভিড ছড়ানোর? গোয়েন্দা সংস্থা দিল নতুন খোঁজ

কোভিড নিয়ে এখনও অনেক কিছু জানার বাকি। বিশেষ করে এই ভাইরাসের গঠন, তাকে আটকানোর উপায়— এসব বিষয় নিয়ে এখনও সম্পূর্ণ ধারণা পাননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এই ভাইরাস কোথা থেকে এসেছিল, তা নিয়ে ধারণা বেশ কিছুটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানালো তাদের মত। কীভাবে এসেছে নতুন এই করোনাভাইরাস— সে কথা বললেন সংস্থার অন্যতম প্রধান।

কী বলেছেন এফবিআইয়ের প্রধান?

হালে এফবিআইয়ের অন্যতম প্রধান ক্রিস্টোফার রে বলেন, ‘এফবিআই কোভিডের সূচনাস্থল খুঁজতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছে। অবশেষে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো গিয়েছে।’ তাঁর কথা থেকে আভাস পাওয়া গিয়েছে, করোনাভাইরাসের ছড়ানোর পিছনে কীসের ভূমিকা রয়েছে, তার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এই গোয়েন্দা সংস্থা।

(আরও পড়ুন: করোনার টিকা ভারতে কত জনকে বাঁচাল? সরকারি হিসাব শুনলে চমকে যেতে পারেন)

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পিছনে কি মানুষের হাত আছে? ইচ্ছাকৃত কাজই কি এটি?

ক্রিস্টোফার রে’র কথায়, এই সন্ধানকাজ আটকানোর চেষ্টাও হয়েছে ইতিমধ্যে। কী বলছেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘চিনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত গবেষণাগার থেকেই খুব সম্ভবত এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। আমেরিকার সরকার এবং অন্য বহু দেশের সরকার সত্যিটা জানার জন্য অনবরত কাজ করছে। আর সেই কাজকে ব্যর্থ করার এবং রাস্তাটি আরও জটিল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে চিনের সরকার।’ তাঁর তোপ চিনের সরকারের বিরুদ্ধেই।

(আরও পড়ুন: এত দিন মাস্ক পরা কি ফালতু হল? কোভিড নিয়ে বিরাট দাবি গবেষকদের)

তবে এর পরে তিনি আরও মারাত্মক কথা বলেছেন। বলেছেন, ‘এই ধরনের নতুন কোনও জীবাণু আসা মানেই সেটি মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে সেটি যদি সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পড়ে বা এমন কোনও সরকারের হাতে পারে, যারা এটি নিয়ে হিংসাত্মক কাজ করতে চায়, তাহলে সকলের বিপদ হতে পারে। এবং সেক্ষেত্রে ঘটনাটি সকলের জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে।’

(আরও পড়ুন: দু’টি জংলা গাছের ফুলের রেণুই আটকাতে পারে করোনা, দাবি নতুন গবেষণা)

ক্রিস্টোফার রে’র দাবি, করোনাভাইরাস নিয়ে তদন্ত প্রথম থেকেই চলছে। আর প্রথম থেকেই চিন সেই তদন্তে বাধা দিতে চাইছে। আর সেই কারণেই নাকি এত দিন এর উৎপত্তি জানা যায়নি। যদিও এর মধ্যেই আরও নানা রকম তত্ত্ব আছে কোভিডের সূচনা নিয়ে। কারও কারও মত এটি পশুবাজার থেকে ছড়িয়েছিল। কারও মত, বাদুড়় থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস। যদিও কারণটি যাই হোক না, তার সঙ্গে যে চিনের উহান প্রদেশের যোগাযোগ আছে, তা এক প্রকার পরিষ্কারই ছিল। এবার এফবিআইয়ের তরফে দাবি করা হল এর পিছনে ভূমিকা রয়েছে গবেষণাগারের। তবে এর সঙ্গে কি সন্ত্রাবাদী কাজের কোনও যোগ আছে? তেমন কোনও দাবি এখনও করেননি তদন্তকারীরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup