Irani Trophy: Yashasvi Jaiswal And Abhimanyu Easwaran Score Century For Rest Of India Against Madhyapradesh

গ্বালিয়র: এই মাঠে ওয়ান ডে-তে সচিন তেন্ডুলকরের ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। সেই গ্বালিয়রে ইরানি ট্রফির (Irani Trophy) প্রথম দিন ব্যাটসম্যানদের রমরমা। ডাবল সেঞ্চুরি করলেন যশস্বী জয়সবাল (Yashasvi Jaiswal)। সেঞ্চুরি করলেন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran)। গতবারের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনই চালকের আসনে অবশিষ্ট ভারত। প্রথম দিনের শেষে অবশিষ্ট ভারত প্রথমে ব্যাট করে তুলেছে ৩৮১/৩। বড় স্কোরের পথে তারা।

গ্বালিয়রে টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অবশিষ্ট ভারতের অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল। তবে ব্যাট হাতে রান পাননি ময়ঙ্ক। তিনিই ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন। ১১ বলে মাত্র ২ রান করে আবেশ খানের বলে ফিরে যান তিনি। মাত্র ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় অবশিষ্ট ভারত। আর সেখান থেকেই প্রত্যাঘাত অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও যশস্বীর। বাংলার ক্রিকেটার অভিমন্যু রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে রান পাননি। ইরানি ট্রফিতে তিনি সুদে আসলে যেন সেই আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন। ২৪০ বলে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যশস্বী ডাবল সেঞ্চুরি করেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেটার ২৫৯ বলে ২১৩ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭১ রান যোগ করেন অভিমন্যু যশস্বী। ৭/১ থেকে অবশিষ্ট ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৩৭৮ রানে।

তবে দিনের শেষ লগ্নে যশস্বীকে বোল্ড করে দেন আবেশ। আর রান আউট হয়ে যান অভিমন্যু। ৩৭৮ রানের মাথায় পরপর দু উইকেট পড়ে। আপাতত ক্রিজে রয়েছেন সৌরভ কুমার ও বাবা ইন্দ্রজিৎ।

ক্ষুব্ধ বাংলার কোচ

অবশিষ্ট ভারতের প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে জোরাল প্রশ্ন তুললেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। অবশিষ্ট ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে রানার্স বাংলা দলের চারজন ক্রিকেটার। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ কুমার ঘরামি, মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ। চারজনের মধ্যে ম্যাচে খেলানো হচ্ছে শুধু অভিমন্যু ও মুকেশকে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছে আকাশ দীপ ও সুদীপ ঘরামিকে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ লক্ষ্মীরতন।

বাংলার কোচ বলেছেন, ‘অবাক করা দল নির্বাচন। বাংলার ছন্দে থাকা ব্যাটার সুদীপ ঘরামি রঞ্জি ট্রফিতে আটশোর ওপর রান করেছে। পেসার আকাশ দীপ চল্লিশের বেশি উইকেট নিয়েছে। আর তারা কি না গ্বালিয়রে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ইরানি ট্রফির ম্যাচে সুযোগ পেল না!’

সিএবি থেকে পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হচ্ছে যে, সদ্যসমাপ্ত রঞ্জি ট্রফিতে ১০ ম্যাচে ৮০৩ রান করেছিলেন সুদীপ। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় ছয় নম্বরে ছিলেন সুদীপ। ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার তিনটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। পঞ্চাশের ওপর ব্যাটিং গড় ছিল সুদীপের।

লক্ষ্মীরতন বলেছেন, ‘অবশিষ্ট ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সৌরভ কুমার, উপেন্দ্র যাদব, যশ ধুল ও বাবা ইন্দ্রজিৎরা রঞ্জিতে বলার মতো কিছুই করেননি।’ পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলে রঞ্জি ট্রফিতে ৫ ম্যাচে মাত্র ১০২ রান করেছেন সৌরভ। রেলওয়েজের হয়ে খেলা উপেন্দ্র ৭ ম্যাচে ৩৫২ রান করেছেন। দিল্লির ক্রিকেটার যশ ৬ ম্যাচে মাত্র ২৭০ রান করেছেন। ইন্দ্রজিৎ ৭ ম্যাচে করেছেন ৪০২ রান। তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি রান করেও বাইরে বসতে হয়েছে সুদীপকে। যা নিয়ে ক্ষিপ্ত বাংলার সিনিয়র দলের কোচ।

আরও পড়ুন: কবে ফিরছেন মাঠে? কীভাবে চলছে ফেরার প্রস্তুতি? নিজমুখেই জানালেন ঋষভ পন্থ