বিশ্বজুড়ে এই বিভাজনের সময়ে…G20 বৈঠকে বড় বার্তা দিলেন মোদী

স্নেহাশিস রায়

আর্থিক সংকট, আবহাওয়ার পরিবর্তন, অতিমারি, সন্ত্রাসবাদ, আর যুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নানা সংকটের কথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি ২০ বিদেশমন্ত্রীদের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি জানিয়েছেন, একাধিক উন্নয়নশীল দেশ বিপুল ঋণ পরিশোধ করতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের নাগরিকদের জন্য় খাবার সুনিশ্চিত করা ও শক্তিসম্পদ নিশ্চিত করার আগে এই লড়াইটা সেই দেশকে চালিয়ে যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি ধনী দেশগুলির কারণে একাধিক দেশকে বিশ্ব উষ্ণায়ণের কুফল ভুগতে হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, একাধিক ক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হচ্ছে এই ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশগুলিকে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গ্লোবাল সাউথ যাতে তাদের কথা বলার অধিকার পায় সেটাই চেষ্টা করেছে ভারতের জি ২০ মিটিং।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপনারা গান্ধী আর বুদ্ধর দেশে এসেছেন। আমি প্রার্থনা করি আপনারা যেন ভারতের সভ্যতা থেকে অনুপ্রেরণা পান। যেগুলি আমাদের মধ্য়ে বিভাজন তৈরি করে সেগুলি থেকে নয়, যেগুলি আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখে সেগুলি থেকে আপনারা অনুপ্রেরণা পান এটাই প্রার্থনা করি। এভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের একাধিক দেশের বিদেশমন্ত্রীদের কাছে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। 

এদিকে দিন চারেক আগে বেঙ্গালুরুতে জি ২০ দেশের অর্থমন্ত্রীদের মধ্য়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও অর্থমন্ত্রীরা একাধিক বিষয়ে একমত হতে পারেননি। সেক্ষেত্রে যৌথ বিবৃতি জারি করা থেকে বিরত থাকে একাধিক দেশ। 

এদিকে এদিন একাধিক দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খাবার  ও শক্তি সম্পদের সুরক্ষা, উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা নিয়ে এদিন আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। দ্বিতীয় সেশনটি সন্ত্রাসবাদকে রুখে দেওয়া, গ্লোবাল স্কিল ম্যাপিং, পরস্পরের মধ্য়ে মানবিক সম্পর্ককে উন্নত করা, দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। 

তবে এদিন বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে কার্যত ইউক্রেন সংকট নিয়ে আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে যায়। আয়োজক দেশ নানাভাবে পরস্পরের মধ্য়ে আলোচনাকে চালিয়ে যায়। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এদিন যৌথ বিবৃতি জারি করা যায়নি।