Galwan: গালওয়ান শহিদের বাবাকে কেন গ্রেফতার করেছিলেন? নীতীশকে ফোন রাজনাথের

অরুণ কুমার ও অনির্বান গুহ রায়

গালওয়ানে শহিদ জওয়ানের বাবা রাজ কাপুর সিংকে গ্রেফতার করা  হয়েছিল। বৈশালী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  শহিদ পুত্রের স্মরণে একটি স্মৃতিশৌধ তৈরির ক্ষেত্রে জটিলতা ও অশান্তির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপরই এনিয়ে রাজ্য় বিধানসভায় তুমুল শোরগোল ফেলে দেয় বিজেপি। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। 

চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বীর জওয়ানরা। ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্য়কার ঘটনা। সেই সময় শহিদ হয়েছিলেন ২০জন ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে জয় কিশোর সিংও ছিলেন। এদিকে তাঁরই স্মৃতিতে সৌধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল বিহারে। তখনই ওই শহিদের বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পরে জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার ফোন করেছিলেন। গালওয়ান সংঘর্ষে শহিদের বাবাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে তিনি জানতে চান। 

মুখ্যমন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, ঠিক কী হয়েছে তা দেখা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন নীতীশ কুমার।

বৈশালির এসপি শ্রী মণীষ জানিয়েছেন, পুলিশের সদর দফতর থেকে টিম পাঠানো হয়েছে। তারা রিপোর্ট দেবে। তবে তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কারণ সদর দফতর থেকে রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে শহিদের বাবাকে গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। যেখানে শহিদবেদী তৈরি হচ্ছিল সেই জমিকে কেন্দ্র করে কিছুটা জট রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  এদিকে সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। 

 বিশ্বনাথ রাম নামে এক ব্যক্তি শহিদের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি জমি দখল করে শহিদ সন্তানের জন্য বেদি তৈরি করছেন। 

অভিযোগ ওঠে যে শহিদের বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে শহিদের মূর্তি তুলে ফেলার জন্য়ও নির্দেশ দেওয়া হয়। শহিদের ভাই নন্দ কিশোর জানিয়েছেন, কেন বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা বুঝতে পারছি না। শহিদের মা জানিয়েছেন, পুলিশ স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। কী ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ। 

এদিকে পুলিশের পালটা দাবি, মেমোরিয়াল তৈরির জন্য কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। এসিডিপিও মহুয়া জানিয়েছেন,জমির মালিকের অধিকার বিঘ্নিত করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের জমিতে অথবা সরকারের কাছে এজন্য জমি চাইতে পারতেন।  

গোটা ঘটনায় বিধানসভায় তুমুল শোরগোল ফেলে দেয় বিজেপি।