Naushad Siddiqui: জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, ৪০দিন পর

অবশেষে জামিন পেলেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। দীর্ঘ ৪০দিন পরে জামিন পেলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পান নওশাদ। নওশাদের জামিনের নির্দেশ সামনে আসতেই  উল্লাসে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। দিনের পর দিন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা আদালত চত্বরে এতদিন ধরে আসছিলেন। আর এদিনই নওশাদের জামিন মিলল। 

এদিকে বুধবারও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিন পাননি নওশাদ। শুনানির শেষে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। এদিকে বুধবার শুনানির সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর জামিন মেলেনি। এনিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ ছিল আইএসএফ শিবির। তবে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন নওশাদ। স্বাভাবিকভাবেই নওশাদের জামিন পাওয়ার খবরে খুশির হাওয়া আইএসএফ শিবিরে। 

এদিকে এর আগে নওশাদ বার বারই আদালত চত্বরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। 

এদিন ৪টি মামলা জামিন পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি।৪টি মামলায় জামিন পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মিলেছে নওশাদ সিদ্দিকির। এদিকে নওশাদ সিদ্দিকির জামিনের জেরে তৃণমূল শিবিরে কি অস্বস্তি বাড়ল? 

গত ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকিকে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিন দিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, নওশাদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সেই মারধরের কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তারপরই জামিন মেলে নওশাদের।

এদিকে নওশাদ সিদ্দিকি গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন নওশাদ। সেদিনই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আরও একাধিক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এদিন সকলেরই জামিন মিলেছে। তবে নওশাদকে গ্রেফতারির ঘটনাকে ঘিরে বাংলা জুড়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছিল। এদিন জামিন মেলায় স্বস্তি পেয়েছেন অনেকেই। 

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, নওশাদ জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল সেটাই তো প্রশ্নের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো একের পর এক আন্দোলন করেছেন। আর তিনিই বিধায়ক নওশাদকে গ্রেফতার করলেন। এটা কোনওভাবেই মানা যায় নি। এভাবে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কেন একজন বিধায়ককে এভাবে জামিন নিতে হবে সেটাই তো বড় প্রশ্নের।