IND Vs AUS 3rd Test: Sunil Gavaskar Claims Ravindra Jadeja’s No Ball Was Turning Point Of The Match

ইনদওর: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্টে (Ind vs Aus 3rd Test) অজিদের হাতে কার্যত পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। ইনদওরে নয় উইকেটে টিম ইন্ডিয়াকে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ জিতেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিজেদের জায়াগা পাকা করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরাজয়ের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হয়েই থাকে। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাওস্করের (Sunil Gavaskar) মতে ম্যাচের প্রথম দিনের এক ঘটনাই ম্যাচের রঙ বদলে দিয়েছে।

জাডেজার নো বল

তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় দল মাত্র ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পরে বল হাতে টিম ইন্ডিয়া শুরুটা ভালই করে। ১২ রানেই ওপেনার ট্রেভিস হেডকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য পায় ভারত। তারপরেই মার্নাস লাবুশেনকে রবীন্দ্র জাডেজার (Ravindra Jadeja) বলে বোল্ড হন। তবে জাডেজা নো বল করায় জীবনদান পান। এরপরেই লাবুশেন ও উসমান খোয়াজা ৯৬ রানের পার্টনারশিপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শক্ত ভিত গড়ে দেন। জাডেজার নো বলে লাবুশেনের জীবনদান পাওয়াই ম্যাচের রঙ বদলে দেয় বলে মনে করেন গাওস্কর।

গাওস্কর বলেন, ‘সম্ভবত ওই ঘটনার (জাডেজার নো বল) ফলেই ভারতীয় দলকে ম্যাচ হারতে হল। কারণ তারপরেই ওরা (লাবুশেন ও খাওয়াজা) ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যেখানে ভারতীয় দল মাত্র ১০৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার মনে হয় ওটাই ম্যাচের রঙ বদলে দিয়েছে। ওই নো বলটাই ভারতকে ম্যাচটা হারিয়ে দিল। ব্যাটারারও অবশ্য নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যদি ভারতীয় দলের উইকেটগুলি দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে যে ভারতীয় ব্যাটারাই নিজেদের আউট করেছন।’

নিম্নমানের পিচ

প্রথম দুই টেস্টের মতো বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) তৃতীয় টেস্টও (Ind vs Aus 3rd Test) আড়াই দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম দুই টেস্টে ভারতীয় দল জিতলেও, ইনদওরে তৃতীয় টেস্টে অজি দল ৯ উইকেটে জয় পায়। ম্যাচ শেষের পরেই আইসিসির তরফে ইনদওর পিচের মূল্যায়ন করা হল। আইসিসির (ICC) তরফে ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামের পিচকে ‘পুুওর’ অর্থাৎ নিম্নমানের রেটিং দিয়েছে। 

ম্যাচের প্রথম দিনেই স্পিনাররা পিচ থেকে দারুণ মদত পায়। স্পিনারদের দাপটে প্রথম দিনেই ১৪টি উইকেট পড়ে। এমনকী ম্যাচে ৩১টি উইকেটের মধ্যে ২৬টিই স্পিনারদের দখলে যায়। ফাস্ট বোলারদের দখলে আসে মাত্র চারটি উইকেট, এক রান আউট হয়। আড়াই দিনেরও আগে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড দুই দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও স্টিভ স্মিথের সঙ্গে কথা বলার পরেই হোলকার স্টেডিয়ামের পিচটিকে নিম্নমানের রেট করা হয়েছে এবং তিন ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও পিচ যদি পাঁচ বা তার অধিক ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে সেই মাঠে ১২ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে।

বিসিসিআইয়ের তরফে আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ১৪ দিনের সময় রয়েছে। পিচের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্রিস ব্রড বলেন, ‘পিচটা ভীষণই শুষ্ক ছিল যেখানে ব্যাট ও বলের মধ্যে ঠিকঠাক লড়াই হয়নি। শুরুতেই স্পিনাররা মদত পেয়েছেন। ম্যাচের পঞ্চম বলেই পিচের থেকে মাটি উঠে আসে এবং ঘটনাটা পুরো ম্যাচ জুড়ে প্রায়শই ঘটতে দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি গোটা ম্যাচেই পিচে অত্যাধিক ও অসম বাউন্স দেখা গিয়েছে।’

আরও পড়ুন: স্থান পাকা অস্ট্রেলিয়ার, কোন অঙ্কে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছবে ভারত?