এর পর তো বিচারকের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে যাবে, কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করে বললেন বিকাশ

কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর হয়ে সওয়াল করতে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হলেন প্রায় ১০০ আইনজীবী। যাকে কেন্দ্র করে এদিন এজলাসে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এদিন আইনজীবীদের দলের নেতৃত্ব দিয়ে কৌস্তভের জামিনের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এমনকী বড়তলা থানার ওসি ও অ্যাডিশনলার ওসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

শনিবার সকালে গ্রেফতারির পর কৌস্তভবাবুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে কৌস্তভবাবুর হয়ে সওয়াল করতে হাজির হন প্রায় ১০০ আইনজীবী। কৌস্তভকে লকআপে রাখা যাবে না বলে দাবি জানান তাঁরা। এমনকী তাঁকে কাঠগড়াতেও তোলা যাবে না বলে দাবি জানাতে থাকেন আইনজীবীরা। এর পর অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে বসেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন কৌস্তভ।

আদালতে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, কৌস্তভের মন্তব্যে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। কী কারণে তিনি এই কাজ করেছেন তা জানা দরকার। সেজন্য কৌস্তভকে ১০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। পালটা কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করে আইনজীবীরা বলেন, কোথায় সংঘর্ষ হয়েছে? কে আহত হয়েছে? তাদের কোথায় চিকিৎসা হয়েছে? কে গ্রেফতার হয়েছে? যে সংঘর্ষে কেউ গ্রেফতার হল না তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা যেতে পারে?

এদিন কৌস্তভের হয়ে জোরদার সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘মাঝরাতে আইনজীবীকে তুলে আনার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে? সে কি কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত? কৌস্তভ একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অতীতের কথা বলা আছে। সেই বই এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সেই বই সরকার নিষিদ্ধ করেনি। কেন ৪১ ধারায় নোটিশ না করে মাঝরাতে হাজির হল পুলিশ? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কেন গভীর রাতে পুলিশ বাড়িতে ঢুকল। এর পর কোনও বিচারক মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে তাঁর বাড়িতেও পুলিশ ঢুকে যাবে’।

এর পরই কৌস্তভকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন আইনজীবীরা। এমনকী কৌস্তভকে জামিন দেওয়া না হলে ব্যাঙ্কশাল আদালতে কোনও বিচারপ্রক্রিয়ায় আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানানো হয়। এর পর রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক।