Chattisgarh incident: ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীর মুখে গুঁজে দেওয়া হল জ্বলন্ত কাঠ, ধৃত তান্ত্রিক-সহ ৩

নির্মম এবং পাশবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ছত্তিশগড়ের একটি আশ্রম। ঝাড়ফুঁক করার নামে নাবালিকাকে মারধর করার পাশাপাশি তার মুখের ভেতর জ্বলন্ত কাঠের টুকরো গুঁজে দেওয়া হল। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ জেলার বাগবাহরা থানার সীমানার অন্তর্গত পাতেরাপল্লী গ্রামে। এই অভিযোগে পুলিশ আশ্রমের তান্ত্রিক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

কিশোরীর দাদা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সি তাঁর বোন গত কয়েক বছর ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। নির্যাতিতার দাদার অভিযোগ, আশ্রমে নিয়ে যাওয়ার পর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে তাঁর বোনকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব বলে আশ্বাস দেন সেখানকার প্রধান গুরু। এই চিকিৎসার জন্য কিশোরীকে কিছুদিনের জন্য আশ্রমে রেখে যেতে বলা হয়। সেইমতোই চিকিৎসার জন্য গ্রামেরই ওই আশ্রমে বোনকে রেখে বাড়ি চলে যান ওই যুবক। অভিযোগ, সেখানে ভোগ দেওয়া নিয়ে বচসা হলে কিশোরীকে আশ্রমে মারধর করা হয়। তখনই আশ্রমের তিনজন তার মুখের ভিতর জ্বলন্ত কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেয়। এতে কিশোরীর মুখ গুরুতর দগ্ধ হয়। আশ্রমের পক্ষ থেকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী আশ্রমে কিশোরীর খাবারে বিষ মেশানোরও অভিযোগ উঠেছে।

তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনের চেষ্টা, ভয় দেখানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে বাগবাহরার একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল এবং তারপরে রায়পুরের আরাং-এর একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পরেই তৎপর হয়েছে পুলিশ। যেখানে এই ধরনের ঝাড়ফুঁক করা হচ্ছে মহাসমুন্দের পুলিশ সুপার সেই ধরনের আশ্রমগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ দিল্লিতে ৭ বছরের শিশুর গালে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বাবার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দিল্লির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ছত্তিশগড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটল।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup