চ্যাম্পিয়নস লিগে ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসি

এই বছর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১০ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই অপরাজিত ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জার্মান দলকে হারিয়ে পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিলো চেলসি। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে তারা জিতেছে ২-০ গোলে। আগের লেগে ১-০ গোলে হেরেছিল তারা। দুই লেগে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসি।

আগের ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে চেলসি জিতেছিল। সেটি ছিল ছয় ম্যাচ পর তাদের প্রথম জয়। তাতে কোচ গ্রাহাম পটারের চাকরিও ঝুলছিল সুতোয়। ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠায় তার ভবিষ্যৎ যেন ফের উজ্জ্বল হলো। রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে ১-০ তে প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকে শেষ করে চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন কাই হ্যাভার্জ। 

প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকে ডর্টমুন্ডকে স্বাগত জানানো চেলসি প্রথম ৪৫ মিনিটে একাধিক সুযোগ পেয়েছিল গোল করার জন্য। ম্যাচের আধঘণ্টা না যেতেই হ্যাভার্জ গোলপোস্টে আঘাত করেন। তার একটি গোল বাতিল হয় বিল্ডআপের সময় অফসাইডের কারণে।

আমেরিকার তারকা জিওভান্নি রেইনা প্রথমার্ধের কিকঅফের কিছুক্ষণ পরই মাঠে নামেন। ইনজুরিতে জুলিয়েন ব্র্যান্ডট মাঠ ছাড়লে তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রাণবন্ত ডর্টমুন্ড যেন নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে নেওয়া ভলিতে তাদের পেছনে ফেলে চেলসি।

এই বছর সব প্রতিযোগিতায় ডর্টমুন্ডের টানা ১০ জয়ের নায়ক ব্র্যান্ডট। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এই মৌসুমে ৯ গোল করা খেলোয়াড়কে হারাতেই ছন্দপতন হয় জার্মানদের।

মার্কো রোসের দলকে আরেকটি গোল দেয় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্লুরা বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবলের আপিল করে। রেফারি মনিটরে ভিএআর যাচাই করে পেনাল্টির রায় দেন। হ্যাভার্জ পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। যদিও দুইবারের চেষ্টায় সফল হন তিনি। হ্যাভার্জের প্রথম পেনাল্টি পোস্টে লেগেছিল। ডর্টমুন্ডের এনরোচমেন্টের কারণে দ্বিতীয়বার তাকে পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ দেন রেফারি। এবার আর ব্যর্থ হননি জার্মান খেলোয়াড়। 

ক্লাব ব্রুগকে ৫-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বেনফিকা। দুই লেগে তারা জয় পেয়েছে ৭-২ গোলে।