Fake call centre: একসঙ্গে ৭টি ভুয়ো কলসেন্টার, গ্রেফতার মূল পান্ডা-সহ ৪, উদ্ধার অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র

আবারও ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেল বিধাননগর পুলিশ। গত চারদিন ধরে বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ টি কলসেন্টারের হাদিশ মিলেছে। এই কল সেন্টারগুলি পরিচালনা করছিল একজনই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শশী গৌরব সোনি। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ আধিকারিকরা নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায়। শুক্রবার সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি, একাধিক ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করে। এরপর সল্টলেকের একটি বাংলোয় হানা দেয় পুলিশ। সেখানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সেক্টর ফাইভের সিএল ব্লকের ২৫৭ এবং সল্টলেকের বিএইচ ব্লকের ১২৭–এর মিডল্যান্ড পার্কে আরও পাঁচটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায়। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একাধিক কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করে। গোপনে সেখান থেকে ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

এই সমস্ত জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রতারকরা তাদের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। এখন ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকে ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই কল সেন্টারগুলি চালাচ্ছিল শশী গৌরব সোনি। তার ভাই সৌরভ সোনি এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একাধিক নথি, দলিল, ফোন, ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও, দুটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং এক কেজি সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছে। শশী গৌরব সোনির কাছ থেকে একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। তাদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিধাননগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এসআই আব্দুল হামিদ মোল্লা, এসআই সৈকত ভট্টাচার্য এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আরও কোথাও ভুয়ো কল সেন্টার রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup