‘গরু চোর নন, ব্যবসায়ী,’ কেষ্ট মণ্ডলের পাশে TMC’র লেখক-MLA, ধুয়ে দিলেন নেটিজেনরা

মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। লেখক হিসাবেও নাম ডাক আছে তাঁর। জাতীয়, আন্তর্জাতিকস্তরের পুরষ্কারও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আর সেই মনোরঞ্জন কার্যত ঢালাও সার্টিফিকেট দিলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সঙ্গে কার্যত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেছেন তিনি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি এনিয়ে পোস্ট করেছেন। আর সেই পোস্টের উত্তরে কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিলেন নেটিজেনরা। ঠিক কী লিখেছেন তিনি?

মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছেন, ‘আজ বীরভূমের বীরপুত্র কেষ্ট মণ্ডলকে পরিকল্পিতভাবে ঘিরে ধরে কিছু বিসি-কং জোটের লোকেরা স্লোগান দিয়েছে গরুচোর বলে। যা আনন্দ সহকারে টিভির পর্দায় দেখানো হচ্ছে। কী আর করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের শাসন ক্ষমতায় আছে মা মাটি মানুষের সরকার। যার নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। যার বুকে খুব দয়া মায়া। বাংলা না হয়ে যদি বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা উত্তরপ্রদেশ হত পুলিশ মেরে ওদের স্যাটাগোটা ভেঙে দিত। এখানে সেভাবে ল্যাথাউষধির প্রয়োগ না হওয়ায় কিছু লাথখোরের খুব দাপাদাপি।’

এর সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, ‘ওরা বলছে কেষ্ট মণ্ডল গরু চোর। আমার জিজ্ঞাসা তোদের কোন ফাদারের কটা গরু কেষ্ট মণ্ডল চুরি করেছে? হাটে গরু বিক্রি হয়। ব্যাপারীরা সেটা কম দামে কেনে, বেশি দামে বেচে। এটা একটা ব্যবসা। বিহার, ইউপি থেকে আসা গরু সে যদি কিনে বেচে তাকে সেটার মধ্য়ে চুরির কথাটা আসে কী করে? তাহলে ব্যবসায়ী মাত্রই চোর। বলা হচ্ছে বাংলাদেশে গরু পাচার করেছে। তা বর্ডারে তো অমিতবাবুর বিএসএফ পাহারায় থাকে। তারা সেই গরু ধরেনি কেন? তাহলে কি তেনারও একটা ভাগ ছিল? যদি তা হয় তিনিও তো ওই!’

‘কেমন দম আছে তাঁকে চোর বলে দেখাক।….এদের মুখ বন্ধ করতে এখন দমদম দাওয়াই দরকার। ’

তবে এবার টিএমসি নেতা এই পোস্ট করতেই তীব্র কটাক্ষ করা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আজ তাবেদারি দেখে অবাক হচ্ছি। অপরজন লিখেছেন, শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে মেলামেশার ফল। অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?

কার্যত মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ধুয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। অপরজন লিখেছেন, দালালদের প্রকৃতপক্ষে কিছু বলার থাকে না। একজন লিখেছেন, দোল তো তাই একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। তবে এর ভিন্ন মতও রয়েছে। একজন লিখেছেন, উচিত কথা বলেছেন।