Leopard: মালগাড়ির মাথায় চিতাবাঘের দেহ, কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা?

মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় মঙ্গলবার একটি মালগাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল একটি চিতাবাঘের দেহ। ওই ট্রেনটি রেলের সাইডিংয়ে চলে এসেছিল। তখনই দেখা যায় ট্রেনের ছাদে চিতাবাঘটির দেহ রয়েছে। বনদফতরের রেঞ্জ অফিসার  রাহুল কারেকার জানিয়েছেন, সম্ভবত ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর চিতাবাঘটি চড়ে বসেছিল। এরপর বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে সেটির সংযোগ হয়ে যায়। আর তখনই তার মৃত্যু হয়।

রেল ও বনদফতর সূত্রে খবর, বনদফতর ও রেলের তরফে ওই দেহটি উদ্ধার করেছে। সেটির বয়স চার বছর বলে মনে করা হচ্ছে। এটিকে ট্রানসিট ট্রিটমেন্ট সেন্টারে সেই চিতাবাঘের দেহটি পাঠানো হয়েছে। 

মনে করা হচ্ছে চিতাবাঘটি কোনওভাবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ওই মালগাড়ির উপর চেপে বসেছিল। সেখানে কোনওভাবেই তার শরীরের সঙ্গে হাইটেনশন লাইনের সংযোগ হয়ে যায়। তার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একেবারে ইঞ্জিনের উপরের অংশটিতে চিতাবাঘটি রয়েছে। সাইডিংয়ে যাওয়ার পরে ট্রেনটির উপর থেকে সেই চিতাবাঘের দেহটি নামানো হয়। 

এদিকে গত দুমাসে ওই এলাকায় একাধিক চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে উদ্বেগ ছড়ায়। ট্রেনটি কয়লার সাইডিংয়ে যাওয়ার পরেই দেখা যায় মালগাড়ির মাথায় চিতাবাঘের মতো কিছু একটা রয়েছে। এরপর ট্রেনের উপর উঠতেই দেখা যায় চিতাবাঘটির দেহ পড়ে রয়েছে। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করেন। তারা চিতাবাঘের দেহ দেখার জন্য় ভিড় করেন। এরপর চিতাবাঘটিতে নামানো হয়। সেটাকে আপাতত ময়নাতনদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। তারপরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

তবে এভাবে ট্রেনের মাথায় চিতাবাঘের দেহ পাওয়ার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে লোকালয়ে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা মাঝেমধ্য়েই ঘটে। উত্তরবঙ্গে চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘের হানা হয়। 

সম্প্রতি গ্রেটার নয়ডার ওয়েস্টের এক বাসিন্দা গৌতম বুদ্ধ নগর বনবিভাগের কাছে খবর দেন যে অঞ্জনা-লে গার্ডেনের কাছে একটি চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে এই খবর চাউড় হতেই বাসিন্দাদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে যায়।বনদফতরের কর্মীরা ও পুলিশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।

জেলা বনাধিকারিক পিকে শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, লে গার্ডেন বহুতলের সোসাইটির তরফে বলা হয়েছে একটি চিতাবাঘ এলাকায় ঘুরছে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ এটাকে দেখা গিয়েছে।

বনাধিকারিক জানিয়েছেন,বহুতলের কাছে চিতাবাঘটি ঘুরছে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। এরপরই ফরেস্টের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু কোনও এই ধরনের জন্তুকে ওখানে দেখা যায়নি।