‘জ্বালানি নিরাপত্তায় অবদান রাখবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় “বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন” কার্যকর অবদান রাখবে। সাশ্রয়ী উপায়ে, দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হবে।’

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১০ মার্চ) দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ। বিগত ১৪ বছর যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার খুবই সফলতার সঙ্গে করে আসছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। ৩শ’ ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের সময়কাল ছিল ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত।’ নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটি শেষ হওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্র আরও জানান, ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাইপলাইন উত্তরাঞ্চলের দৈনিক অতিরিক্ত ২৯০০০ মেগাওয়াট জ্বালানি মজুত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সহজে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করা, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় কম খরচে এবং দ্রুততম উপায়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই পাইপ লাইনের কারণে।

এ সময় অন্যদের মাঝে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব ডক্টর মো. খায়েরুজ্জামান, বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার উপস্থিত ছিলেন।

/এসএনএস/এমএএ/