Partha-Suvendu: বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রীকে হুমকি বিরোধী দলনেতার, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ পার্থর

এবার নিজের জালে জড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে হুমকি দিলেন বিরোধী দলনেতা। সরাসরি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে অভিযোগ। যে পথে আজ বাজিমাত করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সেই পথে হেঁটেই পাল্টা জবাব চেয়েছেন পার্থ ভৌমিক। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। আর তা নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য–রাজনীতি।

ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়?‌ আজ, শুক্রবার পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন বক্তার তালিকায়। তাঁর বক্তব্য যখন শেষের দিকে তখন বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়া দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের দিকে তাকিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এনারা কোন দলে আছেন? এনারা স্পিকারের সামনে বলবেন বিজেপিতে আছেন। তাহলে ওনাদের এদিকে থাকতে বলুন।’ তারপর শুভেন্দু নিজের আসনে বসে পড়েন। তখন নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ ভৌমিক পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘শিশিরবাবু কোন দলে আছেন?’ এই প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান বিরোধী দলনেতা এবং হুমকি দিয়ে বসেন মন্ত্রীকে।

মেজাজ হারিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?‌ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা প্রায়ই সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন, বাড়িতে গিয়ে বাবা–দাদাকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁরা কোন দলে? শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী যে ছকে খেলতে গিয়েছিলেন সেই ছকেই বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তখন মেজাজ হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌এক মাসের মধ্যে সিধে করে দেব। এক মাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব। আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা আছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব।’‌ এই পরিস্থিতিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে বলেন, ‘আপনি এমন অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। আপনি থেমে যান। কে কাকে জেলে ঢোকাবে? এভাবে হয় না কি? এটা রেকর্ডে রাখছি। বিরোধী দলনেতা যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না’‌।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী?‌ বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যা ঘটেছে তা নিয়ে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক নালিশ করেছেন অধ্যক্ষকে। আর স্পিকারকে বলেন, ‘স্যার উনি বলছেন এক মাসের মধ্যে আমাকে জেলে ঢোকাবেন।’‌ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‌সিএম যে চিঠি দিয়েছিলেন, সিবিআই ইডিকে পরিচালনা করছে বিজেপি। আজ সেটাই প্রমাণিত বিরোধী দলনেতার কথায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমাদের সব বিধায়ককেও যদি জেলে ঢুকিয়ে দেন, তাতেও ওই শাড়ি পরা মহিলা একাই যথেষ্ট। উনিই সামলে নিতে পারবেন। তবে আমি নিজের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। দেশে আইন আছে। আমায় জেলে ঢোকাতে গেলে কোনও দোষ থাকতে হবে। আমায় যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন আমি অসংসদীয় কথা বলি না। আমি শিশিরবাবুর নাম করেই বলেছি। সম্মান দিয়েছি। স্পিকারের কাছে আমি বলেছি, বাইরে হলে কোর্টে যেতাম।’‌