Lynching: ব্যাগে গো মাংস রয়েছে? সন্দেহের বশেই মুসলিম ব্য়ক্তিকে পিটিয়ে খুন

ব্যাগে গোমাংস রয়েছে। শুধু এই সন্দেহের বশেই এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। হাড় হিম ঘটনা বিহারে।

বিহারের সারন জেলায় এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির অভিযোগ। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মার। সে গোমাংস নিয়ে যাচ্ছিল এই অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নাসিম কুরেশি নামে ওই ব্য়ক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্চায়েতের প্রধান সুশীল সিং ও গ্রামবাসী রবি শাহ ও উজ্জ্বল শর্মাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

পুলিশ জানিয়েছে. ওই ব্যক্তির কাছ থেকে গোমাংস পাওয়া গিয়েছে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাসিম কুরেশি।

বুধবার এই ঘটনা হয়েছে। নাসিম আর তার ভাইপো ফিরোজ কুরেশি যোগিয়া গ্রামে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। যোগিয়া গ্রামের কাছেই তাদের ঘিরে ধরে জনতা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা নাকি ব্যাগে করে গো মাংস নিয়ে যাচ্ছে। 

যোগিয়া গ্রামটি আবার রসুলপুর থানার আওতায় রয়েছে। তবে ফিরোজ শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে পালিয়ে যায়। নাসিমকে ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটায়। পরে তাকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি মসজিদের কাছে স্থানীয়রা তাদের আটকেছিল। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ফিরোজ গা ঢাকা দেয়। এরপর লাঠি দিয়ে নাসিমকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর নাসিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  এরপর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নাসিমকে। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।  এসপি সারান গৌরব মঙ্গলা জানিয়েছেন,  চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে। 

এসপি  পিটিআইকে ফোনে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এনিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে। এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

এদিকে ওই মুসলিম ব্যক্তির ব্যাগে আদৌ গোমাংস ছিল কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। পুলিশ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকেও গ্রেফতার করেছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে ফের নানা প্রশ্ন উঠছে। কেন এভাবে সাধারণ মানুষ আইন নিজেদের হাতে তুলে নিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।