DA Protest: তালা বন্ধ স্কুল, টানা ২ দিন মিডডে মিল পেল না বর্ধমানের মির্জাপুর গ্রামের পডুয়ারা

প্রথম দিন ডিএ-র দাবিতে শিক্ষকদের ধর্মঘট। দ্বিতীয় দিন অভিভাবকদের ক্ষোভে স্কুলের গেটা তালা। এই জোড়া বিক্ষোভে-ক্ষোভে টানা দুদিন মিডডে মিল পেল না পড়ুয়ারা।

শনিবার সরকারি ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের সড়াইটিকর গ্ৰামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত মির্জাপুর গ্ৰামের নরেন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকল। স্কুলে এসে ফিরে যেতে হল পডুয়াদের। ফিরে গেলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। স্কুল বন্ধ থাকায় মিডডে মিলও পেল না পড়ুয়ারা।

ওই স্কুলে বর্তমানে রয়েছেন ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ২৫০জন ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণ হিসাবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতোই সকাল ১০টায় স্কুলে এসে গেটে তালা খুলতে গিয়ে দেখেন, শিক্ষকদের দেওয়া তালা ছাড়াও প্রতিটি গেটে অন্য আর একটি করে তালা দেওয়া রয়েছে। ওই তালাগুলি স্কুল বন্ধ থাকাকালীন কেউ বা কারা লাগিয়েছে বলেই মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের জানান তাঁরা।

গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, শুক্রবার অর্থাৎ ১০ মার্চ সরকারি ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও স্কুল বন্ধ করে রেখেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওইদিন সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওই ধর্মঘটে নরেন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করায় বিদ্যালয় বন্ধ রেখেছিলেন। ওই দিন স্কুল এসেও তা বন্ধ থাকায় ফিরে যায় ছাত্রছাত্রীরা। রান্না হয়নি মিডডে মিলও। অভুক্ত অবস্থাতেই ফিরে যায় ছাত্র ছাত্রীরা। এই প্রতিবাদে মির্জাপুর গ্ৰামের বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

গ্ৰামবাসীদের তালা গেটে লাগানো থাকায় শনিবার উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তাঁরা পাশের গাছতলায় ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু ক্ষণ পড়ানোর পর বাড়ি চলে যেতে বলেন। এরপর নিজেরা দুপুর ২টো পর্যন্ত গাছতলায় অপেক্ষা করে নিজেদের তালা গেটে লাগিয়ে বাড়ি চলে যান।