Anurag Thakur slams BBC: সরকার বিরোধী কথ বলায় ছাঁটাই প্রাক্তন ফুটবলার,দ্বিচারিতা নিয়ে BBC-কে তোপ অনুরাগের

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ‘ভূমিকা’ নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল বিবিসি। সেই সময় নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বিবিসি ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা’র কথা বলেছিল। তবে এহেন ‘নিরপেক্ষ’ বিবিসির ‘মুখোশ খুললেন’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সম্প্রতি বিবিসির তরফে ছাঁটাই করা হয় ইংরেজ ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক গ্যারি লিনেকারকে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে সেদেশে। অনেকেই বিবিসির জনপ্রিয় ফুটবল শো বয়কট করছেন গ্যারির ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে। এই নিয়ে এবার টুইট করে বিবিসিকে তোপ দাগলেন অনুরাগ ঠাকুর। উল্লেখ্য, গ্যারি লিনেকার সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের অভিভাসন নীতির সমালোচনা করেছিলেন। এরপরই বিবিসির তরফে তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। এদিকে সম্প্রতি আরও এক বিতর্কে জড়িয়েছে বিবিসি। এক তথ্যচিত্রের সিরিজের একটি পর্ব না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের ‘দ্বিচারিতা’র প্রমাণ দিয়েছে বিবিসি। গ্যারি লিনেকার এবং অপর এক তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর টুইট করে লেখেন, ‘খুব আশ্চর্য লাগছে এটা দেখে। যে বিবিসি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বলে, তারা এক তারকা উপাস্থাপককে তাঁর টুইটের কারণে ছাঁটাই করেছে।’ (আরও পড়ুন: অবশেষে বের হতে পারে সমাধান সূত্র, ডিএ আন্দোলনকারীরা হাঁটবেন কোন পথে?)

উল্লেখ্য, ‘ম্যাচ অফ দ্য ডে’ নামক এক জনপ্রিয় ফুটবল শোয়ের সঞ্চালনা করতেন গ্যারি। সেখান থেকে ছাঁটাই করায় বিবিসির ওপর চটেছেন সেদেশের ক্রীড়ামহল এবং উপস্থাপকরা। বিবিসির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং বাকস্বাধীনতাকে দমন করার অভিযোগ উঠেছে ইংল্যান্ডেই। প্রসঙ্গত, লিনেকার ব্রিটিশ সরকারের শরণার্থী নীতির সমালোচনা করে এক টুইট করেছিলেন। তাতে তিনি ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা টানেন। এরপরই লিনেকারকে ছাঁটাই করে বিবিসি। এরপর ‘ফুটবল ফোকাস’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপকরা জানিয়ে দেন, তাঁরা নিজেদের অনুষ্ঠান করবেন না। এদিকে লিনেকারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে বিতর্ক এখানেই থেমে নেই। ব্রিটেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণীদের উপর একটি নতুন সিরিজের একটি পর্ব না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও তোপের মুখে বিবিসি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যর ডেভিড অ্যাটেনবরোর এই নতুন সিরিজের একটি পর্বে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে সেদেশের প্রাকৃতিক শোভা ধ্বংস হচ্ছে। সেই পর্ব নিয়ে ব্রিটেনের শাসকদল টোরি শিবিরের পক্ষ থেকে বিরোধ আসতে পারে জেনেই এই পর্বটি না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিবিসি। এই নিয়ে বিবিসির কর্মীদের একাংশের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। এদিকে বিবিসির বক্তব্য, যে প্রবটি নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সম্প্রচারের কথাই ছিল না। উল্লেখ্য, এই সিরিজে মোট ৬টি পর্ব ছিল। তার মধ্যে পাঁচটি পর্ব দেখানো হবে। এদিকে যে ‘ষষ্ঠ’ পর্ব নিয়ে এত বিতর্ক, সেটি নাকি বিবিসির আইপ্লেয়ারে দেখানো হবে। তবে সেটা নাকি ‘পৃথক তথ্যচিত্র’। এই তথ্যচিত্র বিতর্ক নিয়েও টুইট করেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি লেখেন, ‘বিবিসি একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শন করবে না, কারণ এটা সমাজের একটি অংশকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।’