TMC MLA on Locket Chatterjee: ‘পার্থ-মদনের বান্ধবী… অসভ্য মহিলা’, লকেটকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানালেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সম্প্রতি লকেট অভিযোগ করেছিলেন যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূল বিধায়ক অসিত। সেই অভিযোগের পালটা তোপ দেগে লকেটকে ‘অসভ্য মহিলা’ বলে আখ্যা দেন অসিত মজুমদার। শুধু তাই নয়, অসিত মজুমদার বলেন, ‘পার্থদার খুব ভালো বন্ধবী লকেট চট্টোপাধ্যায়। পার্থদার নামে তিনি টাকা তুলেছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় মদনদারও বান্ধবী।’ এদিকে অশালীন ইঙ্গিত করে অসিত মজুমদার বলেন, ‘তিনি ইডি, সিবিআইকে নিয়ে কথায় কথায় গর্ব করেন। তিনি কোথায় কোথায় সিবিআই, ইডির সঙ্গে আড্ডা মারেন, তা বলুন। আমার কাছে খবর আছে, তিনি (লকেট চট্টোপাধ্যায়) রাতের বেলায় এদের সঙ্গে বসে আড্ডা মারেন।’ (আরও পড়ুন: ডিএ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নবান্নর, কী করল সরকার?)

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছিলেন লকেট। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘অসিত মজুমদার চাকরি কিনেছেন।’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন আমি চাকরি কিনেছি। তিনিই এর ব্যাখ্যা দেবেন। চাকরি কিনে থাকলেও আমি অন্যায় করিনি। আগামী ১৪ মার্চ লকেটের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’ অসিত মজুমদার আরও বলেন, ‘ভদ্রলোকেদের সঙ্গে কী ধরনের কথা বলতে হয়, তা জানেন না লকেট। তিনি একজন অসভ্য মহিলা, অসভ্য মহিলা, অসভ্য মহিলা। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কোনও লজ্জা-ঘৃণা নেই। আমরা কাছে প্রায় ২১ হাজার ভোটে হেরেছেন, সেই গ্লানি এখনও মুছতে পারছেন না। সেই কারণে উলটো পালটা কথা বলছেন। ক্ষমতা থাকলে প্রমাণ করে দেখাক। উনি নিজে একজন অস্বচ্ছ মহিলা।’

আরও পড়ুন: ‘এটাই চাইছিলাম’, শোকজ নোটিশ হাতে পেয়ে নয়া ‘ছক’ ডিএ আন্দোলনকারীদের

এর আগে লকেট বলেছিলেন, ‘সবাই জানত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হবে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম আর ভাবছিলাম কখন গ্রেফতার হবে। কুন্তল-তাপস-শান্তনু, এটা একটা বড় চক্র। মাকড়শার জালের মতো এই চক্র ছড়িয়ে পড়েছে। সিবিআই, ইডি এখন জাল গোটাচ্ছে। রথি মহারথিরা আগামী দিনে জেলে যাবে। আমরা চাই জনতার টাকা মানুষের টাকা যারা লুঠ করেছে তাদের যেন তাড়াতাড়ি শাস্তি হয়। বাংলার মানুষ যেন এদের শাস্তি দেখতে পারেন। পুরো তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। চোর, ডাকাত, গুন্ডা এই দলে সবাই রয়েছে।তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এরা সব কিছু ভুলে গিয়েছে। এই জিনিস শুধু বাংলাতেই দেখা যায়। এর পিছনে বড় বড় প্রভাবশালীরা রয়েছেন। তাদের নামগুলো শান্তনু-কুন্তল যেন তদন্তকারী সংস্থাকে বলে দেয়। আরও নেতাদের নাম বেরিয়ে আসবে। হুগলি জেলার মন্ত্রী-বিধায়করাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। চুঁচুড়ার বিধায়কও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তারও অনেক রকমের অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে সেও অনেককে চাকরি দিয়েছেন, এই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের কাছে অনেক তথ্য এসেছে। সময় মতো এক এক করে তথ্য বের করব। ধনেখালী, চুঁচুড়া, সিঙ্গুরের, বড় সব যাঁরা জিতেছেন তাদের নাম উঠে আসছে। একে একে সকলেই ধরা পড়বে।’