Ek Dake Abhishek: ‘‌ধন্যবাদ জানাই তৃণমূল সাংসদকে’‌, অভিষেকের সাহায্যে ছাত্রী পেল অ্যাডমিট কার্ড

শুধু মুখের কথা নয়। একেবারে কাজে করে দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর তার জেরেই উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়ে পরীক্ষায় বসল ছাত্রী। শুধু একটা ফোন করতে হয়েছিল ‘‌এক ডাকে অভিষেক’‌–এর নম্বরে। স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড না হাতে পাওয়ায় বেজায় সমস্যায় পড়েছিল ছাত্রীটি। আর তখনই অন্য কোনও রাস্তা দেখতে না পেয়ে অবশেষে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘‌এক ডাকে অভিষেক’‌ নম্বরে যোগাযোগ করে ছাত্রীটি। আর ফোন করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হল সমস্যার। বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড না মেলায় পরীক্ষা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের জয়গোপালপুরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সোনালী মিদ্যা। ছাত্রীটি গজেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। অথচ পরীক্ষার আগে হাতে আসেনি অ্যাডমিট কার্ড। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল কপালে। তখন গ্রামের মানুষের পরামর্শে সোনালির বাবা শুক্রবার সকালে যোগাযোগ করেন, এক ডাকে অভিষেকে এবং সমস্যার কথা জানান। ব্যস তাতেই মুশকিল আসান। অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়ে যায় সোনালি। চিন্তার অবসান কাটিয়ে আজ, মঙ্গলবার পরীক্ষা দিচ্ছে সোনালী মিদ্যা।

কেমন করে ঘটল গোটা প্রক্রিয়াটি?‌ সূত্রের খবর, শুক্রবার এক ডাকে অভিষেকে সমস্যাটি জানাতেই নথিভুক্তি হয় নাম, স্কুলের নাম। তখনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। আর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে সেদিন বিকেলেই মিদ্যা পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে শনিবার বিকাশ ভবনে আসতে হবে। বাবা খোকন মিদ্যাকে নথি নিয়ে বিকাশ ভবনে যান। আর সোনালি সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়। চোখে–মুখে তখন স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ।

আর সোনালি ঠিক কী বলছে?‌ এই ঘটনার পর বিষয়টি গোটা গ্রামে জানিয়ে দেয় সোনালি মিদ্যা। সোনালি জানায়, ‘‌শারীরিক অসুস্থতার জন্য ফর্ম ফিল আপ করা হয়নি। তাই অ্যাডমিট কার্ড পাইনি। এভাবে অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেককে।’‌ আর সোনালির বাবা বলেন, ‘‌সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার মেয়েকে অ্যাডমিট কার্ড পেতে সহযোগিতা করার জন্য। এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচির জন্যও শুভেচ্ছা জানাই। এই কর্মসূচি আরও মানুষের সহায়তা করতে পারে।’‌ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুরের সাংসদ নন। তিনি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।