চাকরি চলে গেল চাকরি বিক্রির পান্ডা শান্তনুর

চাকরি বিক্রিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের চাকরিই চলে গেল। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের গ্রুপ ডি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। হুগলির সোমড়াবাজারে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে কর্মরত ছিলেন তিনি। বলে রাখি, মঙ্গলবারই শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।

সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন শান্তনু। মূলত বাড়ি গিয়ে মিটার পরীক্ষা করে বিল দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু সেই কাজ তাঁকে করতে দেখেননি কেউ। দফতরের সামনের এক দোকানি জানালেন, ২০০৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর চাকরি পেয়েছিলেন শান্তনু।

দফতরের এক কর্মী বলেন, উনি জীবনে কোনও দিন হাতে কলমে কাজ করেননি। মাসে একবার অফিসে আসতেন। লগবুকে সই করে বেরিয়ে যেতেন। অনেক সময় লগবুক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যেত। এভাবেই মাসে ৫০০০০ টাকা বেতন তুলতেন তিনি।

সরকারি বিধি অনুসারে গ্রেফতারির পর কেউ ৪৮ ঘণ্টা হেফাজতে থাকলে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। মুক্তি পেলে তাঁতে দফতরের কাছে কারণ দেখাতে হবে। কারণ গ্রহণযোগ্য হলে তবেই তিনি ফের যোগদার করতে পারবেন চাকরিতে।