পরীক্ষায় কম নম্বর পাত্রীর, বিয়েতে বেঁকে বসলেন পাত্র, থানায় গেলেন মেয়ের বাবা

এমনটাও হয়! একজন পাত্র তার বিয়ে বাতিল করে দিলেন। কারণটা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অত্যন্ত খারাপ নম্বর পেয়েছিলেন ওই পাত্রী। তার জেরেই পাত্র বিয়ে ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার ঘটনা। 

রিপোর্ট অনুসারে বরের বাড়ি বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন কারণ পণের দাবি মেটাতে পারেননি তারা। সেকারণে শেষ মুহূর্তে বিয়ে করতে চাননি পাত্র। আর এখন পাত্রীর কম নম্বর পাওয়ার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। তবে বিয়ের কিছু আচার অনুষ্ঠান অবশ্য় হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে কনের বাবার দাবি, পাত্রের পরিবার থেকে বলা হয়েছে কনে ক্লাস ১২এর পরীক্ষায় বড্ড কম নম্বর পেয়েছে। সেকারণে পাত্র বিয়ে করতে চাইছেন না। তিনি বিয়েতে বেঁকে বসেছেন। এদিকে একথা শুনেই পাত্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল কনের পরিবার।

সেই অভিযোগে লেখা হয়েছে, সোনু নামে এক যুবকের সঙ্গে শনি নামে এক পাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল।  ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর পাত্রের বাড়ির তরফে নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছিল। এরপর সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০,০০০ টাকা খরচও করা হয়েছিল। ১৫,০০০ টাকা দামের একটি সোনার রিংও পাাত্রকে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে অনুষ্ঠানের পরে পাত্রের পরিবার যৌতুকের দাবি তুলেছিল বলে অভিযোগ। 

তবে পাত্রীর পরিবার পণ দিতে চাননি বলে খবর। কারণ পণ দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা তাদের নেই। এরপর পাত্রের পরিবারের তরফে দাবি করা হয় মেয়ে এবার পরীক্ষায় কম পেয়েছে। সেকারণেই পাত্র বিয়ে করতে চাইছেন না।

এদিকে কনের পরিবার বরের আত্মীয়দের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পাত্র একেবারে গোঁ ধরে বসে ছিলেন। তবে পুলিশ আপাতত গোটা ঘটনাটি মিটমাট করার চেষ্টা করছেন। দুই পরিবারকে কাউন্সেলিং করিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছে। তবে দুই পরিবার যদি তাদের মধ্য়ে বিষয়টি মিটমাট করিয়ে না নেন তবে এফআইআর করা হবে। এরপর প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে অনেকের মতে, আসলে পাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে পণ চেয়েছিল পাত্রের পরিবার। কিন্তু পাত্রীর পরিবাররে পণ দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল না। এরপরই পাত্রের পরিবারের তরফে বিষয়টি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তারা জানিয়ে দেয় পাত্রী যেহেতু পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে তাতে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তবে কি নম্বরের বিষয়টি গৌন? আসল বিষয় হল পণ না পাওয়া?