পাঁচ বছর ধরে স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক মহিলার, এটা কি ধর্ষণ? রায় আদালতের

কর্নাটক হাইকোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে পাঁচবছর ধরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে যৌন সম্পর্ক হলে সেটাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যাবে না। তবে জাতিগত বিভেদের জেরে শেষ পর্যন্ত তা বিয়েতে পরিণতি লাভ করতে পারেনি। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও অভিযোগকারী এক মহিলার মধ্য়ে অন্তত ৫ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্য়ে ভালোবাসার সম্পর্কও ছিল। তার জেরে তিনি শরীর দিয়েছিলেন। 

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সম্মতি একবার, দুবার বা তিনবারের জন্য নয়। বহু বছর ধরে এই ঘটনা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই ঘটনা। যেহেতু তাদের মধ্য়ে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। সেক্ষেত্রে পাঁচ বছর ধরে তিনি যে সম্মতি দিয়েছেন সেটা কখনই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে এটা বলা যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ।

অন্যদিকে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত দুজনের মধ্য়ে বিয়ে হয়নি। মূলত জাতিগত সমস্যার জেরেই এই বিয়ে করা যায়নি। 

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারিনীর সঙ্গে বিয়ে করার জন্য বার বার চেষ্টা করেছিল তার পুরুষ সঙ্গী। কিন্তু বাস্তবে সেটা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে দুই পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল। বিয়ের কথাবার্তাও হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপ পায়নি। এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল তা খারিজ করে দেয় আদালত। 

এদিকে বিচারপ্রক্রিয়া অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই পুরুষ ও মহিলার মধ্য়ে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। পরে তা থেকে তাদের প্রেম হয়। এরপর একাধিকবার তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পাঁচবছর ধরে তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে তাদের মধ্য়ে আর্থিক বিনিময়ও হয়েছে। 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ে হয়নি। মূলত জাতপাতের গেরোতেই তাদের মধ্য়ে বিয়ে হয়নি। তখনই তাদের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমে তেতো হতে শুরু করে। এরপরই ওই মহিলা পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, উভয়ের সম্মতিতে তাদের মধ্য়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। এর মধ্য়ে জোর করার কোনও ব্যাপার ছিল না। তবে মহিলার দাবি প্রথম দিকে ওই ব্যক্তি জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইত। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, সেটা পাঁচ বছর ধরে টানা হতে পারে না। উভয়ের সম্মতিতেই যা হওয়ার হয়েছে। এটাকে  ধর্ষণ বলা যায় না।