পুনেতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক বাঙালি দম্পতির। তাদের সঙ্গে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাদের সন্তানেরও দেহ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা প্রাথমিকভাবে তা অনুমান করতে পারেনি পুলিশ। এই আবহে ভিনরাজ্যে বাঙালি দম্পতির মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। জানা গিয়েছে, বুধবার পুনের ঔন্ধ এলাকায় অবস্থিত ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায় (৪৪), তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা এবং তাঁদের ৮ বছর বয়সি পুত্র তনিষ্কের মৃতদেহ। দেহগুলিকে ময়নাদতন্দের জন্য পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: মায়ের মাথা কেটে দু’মাস ধরে আলমারিতে রাখল মেয়ে, কাটা হাত-পা রাখা জলের ট্যাঙ্কে)
জানা গিয়েছে, সুদীপ্তের ভাই বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সে বারবার তাঁকে বা প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করে পাচ্ছিল না। এই আবহে পুনেতে তাঁর এক বন্ধুকে বিষয়টি জানায় সুদীপ্তের ভাই। তখন সেই বন্ধু ঔন্ধে সুদীপ্তর ফ্ল্যাটে যান। পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তিনি সুদীপ্তর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। পুলিশ দরজায় টোকা মারলে কেউ সাড়া দেয় না। সেই সময় ভেতরে কেউ আছে কি না খতিয়ে দেখতে সুদীপ্তর ফোনে ফের ফোন করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে আওয়াজ আসে ফোনের। এরপর দরজা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে খোলা হয়। ভেতরে ঢুকে সুদীপ্ত, তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: দানা বেঁধেছে নিম্নচাপ, বাংলায় কবে-কোথায় বৃষ্টি হবে? জানুন আবহাওয়ার আপডেট
পুলিশ দেখতে পায়, সুদীপ্তর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা এবং তনিষ্কের মুখ প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ। এই নিয়েই রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কাজ করেছেন বেশ কয়েকদিন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। পুলিশ অনুমান করছে, সুদীপ্ত তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। অবশ্য, পুলিশের এই অনুমানের প্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। তাই সকল দিক খতিয়ে দেখেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে আপাতত।