বনির সেই ল্যান্ড রোভার গাড়ির দেখা মিলেছে মুম্বইতে, কিনলেন কে?

অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা নিয়েই নাকি গাড়ি কিনেছিলেন বনি। এনিয়ে ইডির মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। পরে বনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন সেই গাড়ি তিনি আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন সেই বিলাসবহুল ডিসকভারি গাড়িটা কোথায় গেল? সূত্রের খবর, সেই ল্যান্ড রোভার গাড়িটি বর্তমানে মুম্বইতে রয়েছে। কিন্তু সেই গাড়ি মুম্বই গেল কীভাবে?

সূত্রের খবর, রমেশ সিং নামে এক গাড়ির ডিলারের কাছে বছরখানেক আগে ওই ডিসকভারি গাড়ি বিক্রি করে দেন বনি। এরপর সেই গাড়ি ফের শৌভিক নামে অপর এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কার্যত সেই বিতর্কিত ডিসকভারি গাড়ি এখন হাতবদল হয়ে চলে গিয়েছে মুম্বই। ওই গাড়ি ডিলারের দাবি,বছর খানেক আগেই গাড়ি কেনাবেচা হয়ে গিয়েছে। তবে এই গাড়ির সঙ্গে যে এমন বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য় তিনি কিছু জানতেন না। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন রমেশ। এমনকী সেই গাড়ির কেনার টাকা অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমেই আদানপ্রদান হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। 

কিন্তু ল্যান্ড রোভার গাড়িটি কেন বিক্রি করেছিলেন বনি সেনগুপ্ত? সেটা অবশ্য় পরিস্কার নয়। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে শৌভিক নামে এক নিউ টাউনের বাসিন্দার কাছে ওই ল্যান্ড রোভার গাড়িটি  বিক্রি করা হয়েছিল। গাড়িটি নিউ টাউনেই ছিল বলে খবর। তবে কত টাকায় এই গাড়ি বেচা কেনা হয়েছিল সে স্পষ্ট নয়। 

এদিকে সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে কুন্তলের অ্য়াকাউন্ট থেকে গাড়ি সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল বলে খবর। সেই টাকা দিয়েই কেনা গাড়ি চাপতেন বনি। তবে তিনি তার বিনিময়ে কুন্তলের একাধিক ইভেন্টে কাজ করেছেন বলে দাবি করেছিলেন।  পরে অবশ্য সেই গাড়ি আবার বিক্রিও করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এক ডিলারকে বিক্রি করেছিলেন বনি।  তিনি আবার নিজেকে বনির ভালো বন্ধু বলে দাবি করেছেন। পরে সেই গাড়ি আবার শৌভিক নামে অপর এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিনি নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল অ্য়াপার্টমেন্টে থাকেন।

কার্যত সেই গাড়ি রহস্য অনেকটাই ভেদ হয়েছে এতদিনে। এর সঙ্গেই অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত সম্প্রতি ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইডি যা জানতে চেয়েছিল তা সবটাই জানিয়ে দিয়েছি।সম্ভবত আর আমাকে এনিয়ে ডাকা হবে না।