Mathematical Model: বিস্ময়কর গাণিতিক মডেল আগে থেকেই জানিয়ে দেবে আপনার মন কী চায়

নার্ভের সমস্যার নানা কারণ রয়েছে। বয়সজনিত কারণ না হলে মানসিক চাপের কারণে হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে নার্ভের সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে শরীরের ওপর তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই যদি আগে থেকেই পেয়ে যান এর আগাম সতর্কতা তাহলে তো আর চিন্তার কিছুই থাকে না।

‘মনোরোগ বিজ্ঞান’ বা ‘ মানসিক রোগ বিজ্ঞান’ হচ্ছে মানসিক রোগের চিকিৎসা বিষয়ক পড়াশোনা। এই পড়াতে মানসিক রোগের মূল কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। মস্তিষ্ক হল আমাদের শরীরের প্রধান অঙ্গ। শরীরের সকল অঙ্গ নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের দ্বারা। বিভিন্ন অঙ্গ, মস্তিষ্কে তথ্য প্রেরণে করে যার ভিত্তিতে আমাদের শরীরে কাজ হয়। মস্তিষ্ক বিকল হয়ে গেলে আপনার বাঁচা আর মরা প্রায় সমান।

মস্তিষ্ক কীভাবে তথ্যের ভবিষ্যদ্বাণী করে এবং তা পড়ে নেয় চটজলদি, তা সহজেই জানতে পারবেন কয়েকটি সংকেতের দ্বারা। এমনই এক গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে গবেষকরা। মস্তিষ্কের কাজ বোঝার জন্য আছে সাংকেতিক চিহ্ন। ভাবতে পারছেন কিছু সাংকেতিক চিহ্ন আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আগে থেকেই জানতে পারবেন মস্তিষ্ক কী চায়!

আবেগ  অনুভূতি, সবই নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের দ্বারা। আচ্ছা আমরা যদি আগে থেকেই জেনে যাই মস্তিষ্কের কথা তাহলে কি ভালোই না হতো। হ্যাঁ এমনটাই বলছেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা। এমনই এক গাণিতিক মডেল আবিষ্কৃত হয়েছে যার দ্বারা আগে থেকেই আপনি মস্তিষ্কের গতিবিধি জানতে পারবেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধি ঠিক হতে পারে না উপসর্গগুলিকে ঠিক ভাবে বুঝতে না পারার জন্য। ইটিএইচ-এর বিজ্ঞানীরা এই গাণিতিক মডেলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন। বর্তমানে মানসিক রোগ একটি স্বাভাবিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। মানুষ ছোট ছোট বিষয়ে এত বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলছে, এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছে যে এগুলি সহজেই তাঁদের মানসিক সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। স্নায়বিক রোগের বাড়বাড়ন্ত এখন বেশি। চোখ ফেরালেই দেখতে পাব কম বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যেই স্নায়বিক রোগের সংখ্যা বেশি।

আমাদের মস্তিষ্ক বাইরে থেকে তথ্য নেয় এবং তা জমা করে। অনেকটা কম্পিউটারের মতোই। এই ভবিষতদ্বাণীগুলি এই নতুন আবিষ্কৃত গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে আগাম সংশোধন করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইটিএইচ জুরিখ এবং জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লাস এনো স্টিফান বলেন ‘এটি খুব যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় যে আবেগের উদ্দেশ্য হল আমাদের দেহে অচেতন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করা।’ তিনি আরও বলেন এই মডেল আগাম বার্তা হিসেবে কাজ করবে।

স্টিফান বলেন, মানসিক রোগীদের অধিক পরিমাণে চিন্তা, অহেতুক ভয় বেশি থাকে, যদি এই মডেল সেইগুলি আগের থেকে ধরে নেয় এবং শরীরকে বোঝাতে বাধ্য করে সব বিষয়ে বেশি চিন্তা করা ঠিক নয়। সকল সমস্যার সমাধান আছেই এটাই  স্বাভাবিক নিয়ম, তাহলে সহজেই মানসিক জটিলতার অবসান হবে। এতে  ৮০%  মানুষকে  হতাশা থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।