Nabanna: লক্ষ্মীবারে ১৪ তলায় যাওয়ার আগেই ১২তলায় নামলেন মমতা, ফের চমক নবান্নে

নবান্নের ১৪ তলাকে নিশানা করে মাঝেমধ্যেই তির ছোঁড়েন বিরোধীরা। এই ১৪ তলায় যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস সেটা বিলক্ষণ জানেন বাংলার সাধারণ মানুষ। সাধারণত মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যখন লিফটে ওঠেন তখন সেটা থামে সেই ১৪ তলায় গিয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের একেবারে অন্য় ঘটনা দেখল নবান্ন। এদিন আচমকাই মুখ্য়মন্ত্রী ১৪ তলায় যাওয়ার আগেই ১২ তলায় লিফট থেকে নেমে পড়েন। এদিকে তাঁকে এভাবে লিফট থেকে নামতে দেখে সচকিত হয়ে যান সরকারি কর্মীরা।

বুধবারই নবান্নের পাঁচ তলায় চলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর সটান ৪০৩ ও ৪০৪ নম্বর ঘরে তিনি চলে যান। এটা স্বরাষ্ট্র দফতরের অফিস। কিন্তু সেখানে তিনি একাধিক টেবিলে কর্মী , আধিকারিকদের দেখতে পাননি। তাঁরা কেন অনুপস্থিত রয়েছেন সেকথাও জানতে চান তিনি। এদিকে গত ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ডিএর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। সেদিন কতজন অফিসে আসেননি সেকথাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। অনেকের মতে একদিকে  ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তবে কি পালটা এনিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী চাপে রাখার চেষ্টা করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশকে? 

কিন্তু এদিন ১২ তলায় গিয়ে ঠিক কী করেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিনও কি তিনি সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন? তবে সূত্রের খবর, এদিন তিনি অর্থ সচিবের ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ ছিলেন। এরপর তিনি ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ঘরে ঢোকেন। সেই দফতরের ভেতরটি তিনি ঘুরে দেখেন। এরপর অর্থ সচিবকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ১১ তলাতেও একবার যান। ফের তিনি ১৪ তলায় নিজের চেম্বারে চলে যান। 

তবে এদিন তিনি ঠিক কেন এভাবে অর্থ দফতরে গিয়েছিলেন সেটা পরিস্কার নয়। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্য়ে। 

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পর্যটন থেকে অর্থ, স্বরাষ্ট্র থেকে মৎস্য সর্বত্র মুখ্য়মন্ত্রীর কড়া নজর থাকে। কোন দফতরে কাজ কেমন হচ্ছে তা নিয়ে তিনি নিয়মিত খোঁজ নেন। তবে ইদানিং ডিএ ইস্যুতে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ অন্য সুর গাইতে শুরু করেছেন। এমনকী তাঁরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হচ্ছেন। এর সঙ্গে টানা ধর্নাতেও বসেছেন তারা। তবে কি এবার কর্মসংস্কৃতি ও হাজিরার প্রতি বাড়তি নজর দিতে চাইছেন মুখ্য়মন্ত্রী?