ফের ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, কেন বায়ুসেনার ৩ অফিসারকে সরানো হল?

২০২২ সালের ৯ মার্চ। ভারতের সুপারসোনিক মিসাইল ব্রহ্মস গিয়ে সরাসরি আঘাত হেনেছিল পাকিস্তানের বুকে। এনিয়ে নানা চর্চা হয়েছে। তার জেরে কোর্ট অফ এনকোয়ারিতে বায়ুসেনার তিন আধিকারিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তবে তার মধ্যে একজন আধিকারিক এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁকে চাকরিতে ফের বহাল রাখার আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। তবে দিল্লি হাইকোর্টে এনিয়ে জবাব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। 

অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতে জানিয়েছিলেন এই ঘটনার জেরে ফের ভারত- পাকিস্তানের যুদ্ধের ফুলকি জ্বলে উঠতে পারত। তাদের কর্তব্যে অবহেলার জন্য়ই এটা হয়েছিল। এয়ারফোর্স তার দায় অস্বীকার করতে পারে না। গোটা বিশ্বের কাছে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন তারা। 

এদিকে এক অভিযুক্ত বায়ুসেনা আধিকারিক জানিয়েছিলেন মহড়ার সময় এই ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কেবলমাত্র এই মিসাইলের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মিসাইলে ফায়ারিং করেননি। তিনি দাবি করেছিলেন একমাত্র সিও এবং ট্রেনিং অফিসাররা এই ঘটনায় দায়ী হতে পারেন। তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। 

তিনি জানিয়েছিলেন তদন্ত চলাকালীনও তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানতেন না। মিসাইল কীভাবে চালাতে হয় তা নিয়ে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাও নেই। সেকারণে তাঁকে চাকরিতে ফের বহাল করার আবেদন তিনি করেছিলেন। 

এদিকে মার্কিন ডিরেক্টর অফ ন্য়াশানাল ইনটেলিজেন্স তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়েছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সেই মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছিল ভারত জঙ্গিহানার বদলা নিতে চাইছে । পাশাপাশি কাশ্মীরে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানের উপর পালটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। এমনটাই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। এমনকী পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের মধ্য়ে এই যুদ্ধের পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। 

এদিকে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল পাকিস্তান উগ্রপন্থী গোষ্ঠীদের উৎসাহ দেয় এমন একটি ইতিহাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে সামরিক শক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত তার জবাব দিতে পারে বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়। সেক্ষেত্রে এই ধরনের সংঘর্ষের পরিণতিতে কাশ্মীরে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য় এই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এটাই আশার কথা।