মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুরএক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়ালো। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর এই দুই জনের মৃত্যু হয়। নিহত দুই জন পুরুষ। তাদের এক জনের বয়স (৬৫)। অন্যজনের (৩২)।
নিহতদের মধ্যে একজন সুইটি (২০)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম মাসুদ মিয়া। সুইটির বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামে।
নিহত আরেক জনের নাম অনাদি রঞ্জন মজুমদার। তিনি গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছিলেন।
নিহত অন্যদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মরদেহগুলো রাখা হয়েছে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আহতদের মধ্যে সাত জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি আহতরা হলেন- আ. হামিম (৫৫), শেখ ফয়সাল আহমেদ (৪০), বদরুদ্দোজা (৩০), পংকজ কান্তি ঘোষ (৫০) ঝুমা আক্তার (৩৪), মো. এনামুল (৪০) ও বুলবুল (৫০)।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন জানান, ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৪ জন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়।