Amartya Sen: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি মিউটেশন, বিতর্ক থামবে?

নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাঁকে কেন জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না তা নিয়েও প্রতীচীর ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী। এর সঙ্গে শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে তার মধ্যেই এবার অমর্ত্য সেনের জমির মিউটেশন করা হল বলে খবর। জেলা প্রশাসন সূত্রে এই মিউটেশনের খবর মিলেছে। অর্থাৎ যে জমি নিয়ে বিতর্ক সেই জমিই মিউটেশন করা হল। 

এবার এনিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথি টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলার গর্ব  অমর্ত্য সেনকে অপমান করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার তাঁর জমির নথি সামনে এল। তাঁকে অপমান করা বন্ধ করা হোক। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,  বাবার নামে যে জমি ছিল সেটি মাননীয় অমর্ত্য সেনের নামে চেঞ্জ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের নামে যে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার পরিণতি কী হবে তা জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 

তবে মনে করা হচ্ছে এই জমিকে ঘিরে বিতর্কের রেশ এতদিন যে উচ্চগ্রামে চলছিল তার চড়া সুর এবার কিছুটা কমতে পারে। এদিকে ২৯ মার্চ নথি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী। কিন্তু তিনি এবার যান কি না, তিনি গেলেও কোন নথি নিয়ে যান তা নিয়ে প্রশ্নটা ঝুলেই রয়েছে। 

তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের জমিকে ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের অবসান হোক এটা চাইছেন সাধারণ মানুষ। 

এদিকে গত কয়েক মাস ধরেই এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও চলে গিয়েছেন অমর্ত্য সেনের কাছে। কিন্তু তারপরেও বিতর্ক থামেনি বরং এই বিতর্ক নতুন করে উসকে উঠেছিল। 

বিশ্বভারতীর সাফ কথা ছিল, অতিরিক্ত জমি দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এদিকে আগেও এনিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী। ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরৎ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ফের চিঠি পাঠানো হয়। এনিয়ে চাপানউতোর ক্রমেই চলতে থাকে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী একেবারে প্রশাসন, ভূমি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অমর্ত্য সেনের বাড়িতে। তাঁকে নানাভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন। এমনকী নোবেলজয়ীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এবার জমির মিউটেশন হল। সেক্ষেত্রে যাবতীয় বিতর্কে জল পড়ল কি না সেটাই দেখার।