Fire: মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৩, দাউ দাউ করে জ্বলে গেল

মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঝলসে মৃত্যু হল তিনজনের। বাড়ির মালিকের স্ত্রী, পুত্র ও এক প্রতিবেশীর মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। ভয়াবহ ঘটনা। বহু দূর থেকে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। দুমদাম আওয়াজ শোনা যায়। মহেশতলার নুঙ্গি মণ্ডলপাড়ার একটি বাড়িতে চলছিল বাজি কারখানা। সেখানেই বিস্ফোরণ। তারপরেই আগুন ধরে যায়। কিন্তু আদৌ কি বাজি কারখানা নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কিছ?

দমকলের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন ঘটনায় অন্য়রকম ব্যাপার রয়েছে।তিনটে দেহ পাওয়া গিয়েছে। ফরেনসিক হবে। তদন্ত হবে।

সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় আচমকাই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। তারপরেই দাউ দাউ করে আগুন। দমকল বাহিনী রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ করছে। ইতিমধ্য়েই তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও অনুমতি ছাড়াই এখানে বাজি কারখানা চালানো হচ্ছিল বলে খবর। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

চারপাশে একাধিক বাড়ি। তার মধ্যে মজুত করা হয়েছিল বাজি। কিন্তু কীভাবে বসতবাড়িতে বাজির কারখানা চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানে বাজির কারখানা ছিল। এখানেই বাজি মজুত করা হত। নানা ধরনের রাসায়নিক মজুত করা ছিল। সেক্ষেত্রে আগুন নেভাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় দমকলকে। রাত পর্যন্ত চলছে আগুন নেভানোর কাজ। তবে প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কীভাবে এই ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। গোটা বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। চারদিকে বারুদের গন্ধ। কয়েকজন আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। পোড়া তিনটি দেহ দমকল উদ্ধার করেছে। গোডাউনে কয়েকজন ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারা কী করছিলেন তা জানা যায়নি। এদিকে বিস্ফোরণের জেরে ছিটকে পড়েন সকলে। তার সঙ্গেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিনির্বাপনে কোনও বিধি মানা হয়নি ওই বাজি কারখানায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ ও দমকলের পদস্থ কর্তারা এলাকায় গিয়েছেন।