Manish Kothari sent to Tihar Jail: জেল হেফাজতে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক, আগামী ১৪ দিনের জন্য মণীশ কোঠারির ঠিকানা তিহাড়

অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই সোমবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। আজ আদালতে ইডি জানিয়েছে, মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ হয়ে গিয়েছে। এই আবহে তাঁকে আর হেফাজতে চায়নি ইডি। এদিকে আজ আদালতে জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। তবে জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। এই আবহে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। জানা গিয়েছে, দিল্লির তিহাড় জেলে রাখা হবে মণীশকে। (আরও পড়ুন: হাওড়া থেকে চালু হবে আরও এক বন্দে ভারত, ৭৫০ কিমি দূরত্ব পার হবে মাত্র ৬ ঘণ্টায়)

ইডি সূত্রের খবর, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত। প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশকে জেরা করেই ইডি জানতে পারে যে সেই সংস্থা আদতে সুকন্যার এনএম অ্যাগ্রোকেম।

আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনের মাঝেই এবার সরকারি কর্মীদের নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

এদিকে ইডি সূত্রে খবর, মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আজ অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। তবে আজ দিল্লিতে ইডির তলবে সাড়া দেননি সুকন্যা। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সুকন্যা বর্তমানে বোলপুরের বাড়িতে নেই। এই আবহে সুকন্যা কোথায় আছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এদিকে মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডি দাবি করেছে, গরু পাচারের কয়েকশ কোটি টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে অনুব্রতকে অনেক ধরনেকর পরামর্শ দিয়ে থাকতেন মণীশ। বাজার দরের থেকে বেশি দামে সম্পত্তি বা জিনিসপত্র কেনার ‘পরামর্শও’ নাকি অনুব্রতকে দিয়েছিলেন মণীশ।