গরুমারার জঙ্গলের কাছেই আবাসন ! TMCকে নিশানা BJP বিধায়কের, কেন্দ্রকে চিঠি

সাধারণত জঙ্গলের কোর এরিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের ক্ষেত্রেও নানা বাধা নিষেধ থাকে। আর সেই জঙ্গলের কোর এরিয়াতে এবার আবাসন তৈরি হচ্ছে, অভিযোগ তুলেছেন খোদ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই টুইটকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে কাদের অনুমতিতে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় এই আবাসনের অনুমতি মিলেছে? এবার এনিয়ে বিস্ফোরক টুইট করেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শনও করেছেন।

অনেকেই লাটাগুড়ির জঙ্গলে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফিরে আসতে মন চায় না। তবে ফেরার সময় মনে হয় ওই সবুজ জঙ্গলের ধারে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট থাকলে কেমন হয়? তবে সেই আশা পূরণের জন্য় শুরু হয়েছে আবাসন প্রকল্প। সবটাই বেসরকারি উদ্যোগে। এই প্রকল্পকে ঘিরেই তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

তিনি টুইটারে কয়েকটি ছবি তুলে ধরেছেন। সেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে অরণ্যের আঙিনায় মনের ঠিকানা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ২০ একরের বেশি জমি নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই আবাসন প্রকল্প। সেখানে ১ বিএইচকে অ্য়াপার্টমেন্ট মিলবে।

এর সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৫৫টি অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হবে এখানে। শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের কাছেই এই প্রকল্প। প্রাকৃতিক ঝোরার কাছে এই আবাসন। প্রকৃতি অনুধাবনকেন্দ্র ও ক্লাব নেস্ট থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে আপত্তি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। এমনকী এলাকায় গিয়ে হতবাক বিধায়ক। জঙ্গলের পাশে এই ধরনের প্রকল্প কী করে সম্ভব? 

 

বিধায়ক লিখেছেন, লাটাগুড়িতে টাউনশিপ করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। গভীর জঙ্গলের কাছে তৈরি হচ্ছে এই আবাসন। স্যাটেলাইট ছবিতে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এটা উদ্বেগের। জঙ্গলের পাশে আবাসন তৈরি কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা জানতে চাইছি।

পরিবেশের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়ে একটি মূল্যয়ন করা দরকার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে কি না সেটাও জানতে চেয়েছেন বিধায়ক।

তিনি টুইট করে লিখেছেন, লাটাগুড়ি জঙ্গলের কোর এরিয়া বাণিজ্যিক আবাসন হচ্ছে। এটা তৃণমূল সরকারের একটা বড় কেলেঙ্কারি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য় এই আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। তবে ওই আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।